Logo

আন্তর্জাতিক

স্ন্যাকস নয়, স্নেক! রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ মে ২০২৫, ১৫:৫৩

স্ন্যাকস নয়, স্নেক! রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা

আচমকাই একটি সাপ সোজা ছাদ থেকে মার্গারিটার গ্লাসে পড়ে /ছবি : সংগৃহীত

কিছু রেস্টুরেন্ট অভিজ্ঞতা আজীবন মনে থাকে—তা অবশ্য সব সময় ভালো কারণে নয়। কখনো খাবারে চুল পাওয়া যায়, কখনো প্লেটের ওপর পোকা, আবার কখনো মুখে এমন কিছু উঠে আসে, যেটা একদমই থাকার কথা নয়।

তবে মার্কিন নারী কারলেটা অ্যান্ড্রুজের অভিজ্ঞতা এসবের সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে। গত ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ‘দ্য পেট্রন মেক্সিকান রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড ক্যানটিনা’ নামের এক রেস্টুরেন্টে খাচ্ছিলেন। সেসময় আচমকাই একটি সাপ সোজা ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে তার মার্গারিটার গ্লাসে পড়ে!

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ৮নিউজকে কারলেটা জানান, ‘আমি একটু হেলান দিয়ে মার্গারিটায় চুমুক দিতে যাচ্ছিলাম, তখন হঠাৎ কিছু একটা কপালে লাগল। আমি আমার স্বামীর দিকে তাকিয়ে বললাম—এটা কী হলো? পিছনে তাকিয়ে দেখি, আমার গ্লাসে একটা সাপ!’

তিনি আরও বলেন, ‘সাপটা তখনো নড়াচড়া করছিল। একসময় সেটা আমার স্ট্র-র চারপাশে প্যাঁচিয়ে যেতে শুরু করে।’ 

এরপর কী ঘটেছে, সেসব আর স্পষ্ট মনে নেই বলে জানান তিনি। তবে রেস্টুরেন্ট কর্মীরা সাপটি সরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত পাশের টেবিলের একজন সেটিকে হাতে তুলে বাইরে ছেড়ে দেন।

কারলেটা বলেন, ‘আমি বারবার বলছিলাম, এটা যেন আমার ব্যাগে না ঢুকে পড়ে।’

পরে তিনি আতঙ্কিত হয়ে কাঁপতে কাঁপতে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে আসেন। রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ তাকে অন্য একটি বুথে বসতে বলেন, তবে তিনি আর থাকতে চাননি।

এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও খাবারে সাপ পাওয়ার খবর শিরোনাম হয়েছিল। মার্চ মাসে থাইল্যান্ডের রেইবান নাকলেংবুন নামে এক ব্যক্তি তার পপসিকলের মধ্যে একটি সাপ খুঁজে পান। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন—একটি কালো-হলুদ রঙের সাপ বরফে জমে থাকা অবস্থায় ছিল সেই আইসক্রিমে। রেইবান ফেসবুকে তার সেই ভয়ংকর আবিষ্কারের ছবি শেয়ার করেন, যেখানে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছিল সাপটি।

তাই পরবর্তীবার যখন আপনি কোনো খাবার বা মিষ্টি মুখে তুলতে যাবেন, একবার ভালো করে দেখে নিন—অপ্রত্যাশিত ‘উপাদান’ যেন লুকিয়ে না থাকে! সাবধান থাকাই ভালো, তাই না?

ওএফ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর