
পাকিস্তান বিমান বাহিনী (পিএএফ) ৩ ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে /ছবি : সংগৃহীত
পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। এই হামলার জবাবে পাকিস্তান বিমান বাহিনী (পিএএফ) তিনটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম পিটিভি নিউজ।
বুধবার ভোরে নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানায় সিনহুয়া।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভারতীয় আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তানি বাহিনী উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে।’
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, অভিযানে অংশ নেওয়া সব পাকিস্তানি বিমান নিরাপদে ঘাঁটিতে ফিরে এসেছে।
পূর্বাঞ্চলীয় পাঞ্জাব প্রদেশের প্রধান শহর রাওয়ালপিন্ডিতে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তারা আকাশে একটি ক্ষেপণাস্ত্র দেখতে পান, যা ধারণা করা হচ্ছে—পাকিস্তানের ভেতর থেকেই ছোড়া হয়েছিল।
আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, ভারত রাতের আঁধারে আহমদপুর শরকিয়া, কোটলি, মুজাফফরাবাদ, বাঘ ও মুরিদকে এই পাঁচ স্থানে হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, ভারত তাদের নিজস্ব আকাশসীমা থেকে এই কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তান এর কঠোর জবাব দিতে শুরু করেছে। বাহাওয়ালপুরে বিস্ফোরণের আগে আকাশজুড়ে উজ্জ্বল আলো দেখা যায়।
সূত্র জানায়, মুজাফফরাবাদ ও বাহাওয়ালপুর—দুই জায়গাতেই বিস্ফোরণের তীব্র শব্দ শোনা গেছে। হামলার পর মুজাফফরাবাদ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
ডিজি আইএসপিআর আরও বলেন, বাহাওয়ালপুরের সুবহানআল্লাহ মসজিদকেও টার্গেট করে হামলা চালানো হয়েছে। সেখানে সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে এই কাপুরুষোচিত হামলা চালানো হয়। পাকিস্তান এখন পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে। সময়মতো উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।
ভারতের এই কাপুরুষোচিত হামলার পর পাকিস্তান তার আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। সব ধরনের ফ্লাইট বাতিল করেছে।
বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, ৪৮ ঘণ্টার জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে একটি নিয়মিত ‘নোটাম’ জারি করা হয়েছে। ইসলামাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং লাহোর বিমানবন্দরের সব ফ্লাইট চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে।
কাতার, দুবাই, বাহরাইন, কুয়েত ও রিয়াদগামী অন্তত ২৫টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
ভারত সরকার জানিয়েছে, তাদের সশস্ত্র বাহিনী ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে একটি সামরিক অভিযান চালিয়েছে, যার লক্ষ্য ছিল পাকিস্তান ও পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে অবস্থিত সন্ত্রাসী অবকাঠামো। সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী, সেখান থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছিল।
সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই অভিযানে মোট নয়টি স্থানে হামলা চালানো হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমাদের পদক্ষেপগুলো ছিল লক্ষ্যভিত্তিক, পরিমিত ও উত্তেজনা না বাড়ানোর উদ্দেশ্যে পরিচালিত। কোনো পাকিস্তানি সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি। টার্গেট নির্বাচনে ও হামলা পরিচালনায় ভারত যথেষ্ট সংযম দেখিয়েছে।’
গত মাসে ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলার পর এই অভিযানের নির্দেশ দেওয়া হয় বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
ওএফ