দক্ষিণ এশিয়ায় দীর্ঘমেয়াদি শান্তি চায় যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৫, ০৭:৪৯

পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে ভারত /ছবি : সংগৃহীত
কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর প্রাণঘাতী হামলার দুই সপ্তাহ পর পাকিস্তান ও পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে ভারত।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সংঘর্ষ ‘ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ’ করছে ওয়াশিংটন।
মুখপাত্র বলেন, দুই দেশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ায় দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ‘দায়িত্বশীল সমাধানের’ পথে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এর আগে, বিবিসির পররাষ্ট্র দফতর বিষয়ক সংবাদদাতা টম বেটম্যান জানান, ভারতের বিমান হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সরাসরি ‘সংযম’ পালনের আহ্বান না আসা মূলত নয়াদিল্লির সঙ্গে ক্রমশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও ইসলামাবাদের ক্রমবর্ধমান বিচ্ছিন্ন অবস্থানেরই প্রতিফলন।
গত রাতেই যখন সংঘর্ষ শুরু হয়, তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মন্তব্য পুনরায় তুলে ধরে বলেন, তিনি আশা করেন এই সংঘর্ষ ‘দ্রুত শেষ হবে’ এবং উভয় পক্ষ ‘শান্তিপূর্ণ সমাধানের’ পথে অগ্রসর হবে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘অপারেশন সিন্ধুর’ নামের এই অভিযান চালিয়ে ২২ এপ্রিল পাহেলগামে সংঘটিত হামলার জন্য দায়ী সন্ত্রাসীদের স্থাপনাকে টার্গেট করা হয়েছে। ওই হামলায় ২৫ ভারতীয় ও একজন নেপালি নাগরিক নিহত হন।
ভারত বলেছে, যারা এই হামলার পেছনে রয়েছে তাদের জবাবদিহির আওতায় আনার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ।
তবে পাকিস্তান দাবি করেছে, তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই ও ভারত ‘উসকানিমূলকভাবে’ এই হামলা চালিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ একে ‘নৃশংস আগ্রাসন’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘এই কর্মকাণ্ডের মূল্য ভারতকে চুকাতে হবে।’
বুধবার এক বিবৃতিতে শরিফ বলেন, পাহেলগামের হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো সম্পর্ক নেই এবং তার দেশকে অন্যায়ভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
কাশ্মীর ইস্যু দীর্ঘদিন ধরেই ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার কেন্দ্রে রয়েছে। অঞ্চলটি উভয় দেশই তাদের নিজস্ব বলে দাবি করলেও ১৯৪৭ সালে ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতার পর এটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে এবং দুই দেশই আলাদা অংশ শাসন করে আসছে। কাশ্মীর নিয়ে এর আগেও দুইবার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে দেশ দুটি।
ওএফ