গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ, নিভল ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের চুলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৫, ১২:১৫

ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের চুলা বন্ধ হয়ে গেছে /ছবি : সংগৃহীত
খাদ্য ও জ্বালানির সরবরাহ শেষ হয়ে যাওয়ায় গাজায় খাবার তৈরি কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন (ডব্লিউসিকে)। সংস্থাটি জানায়, ইসরায়েল মার্চের শুরু থেকে গাজা সীমান্ত বন্ধ করে রাখায় নতুন করে খাদ্য ও জ্বালানি প্রবেশ করতে পারেনি। ফলে তাদের কাজ চালিয়ে নেওয়া সম্ভব না।
গত ১৮ মাসে ডব্লিউসিকে গাজায় ১৩ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি খাবার পরিবেশন করেছে ও ২ কোটি ৬০ লাখ রুটি প্রস্তুত করেছে। কিছুদিন আগেও সংস্থাটি প্রতিদিন ১ লাখ ৩৩ হাজার খাবার ও ৮০ হাজার রুটি প্রস্তুত করছিল। কাঠের প্যালেট ও জলপাইয়ের খোসা দিয়ে বিকল্প জ্বালানি ব্যবহার করে সীমিত সম্পদে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল।
কিন্তু এখন ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন জানিয়েছে, ‘আমরা সক্ষমতার সর্বশেষ সীমায় পৌঁছে গেছি।’
ডব্লিউসিকের দুটি বড় ফিল্ড কিচেন বন্ধ হয়ে গেছে। গাজার একমাত্র সচল ভ্রাম্যমাণ বেকারিও ময়দার অভাবে থেমে গেছে। সংস্থাটির সহায়তায় পরিচালিত ৮০ শতাংশেরও বেশি কমিউনিটি কিচেন খাদ্য ও জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। এখন কেবল কয়েকটি স্থানে পানি সরবরাহ চালু রয়েছে।
ডব্লিউসিকে জানায়, খাদ্য ও জ্বালানি বোঝাই তাদের ট্রাকগুলো এক মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজা সীমান্তে অপেক্ষা করছে। জর্ডান ও মিসর থেকেও অতিরিক্ত ত্রাণ প্রস্তুত আছে, তবে ইসরায়েলি অনুমোদন ছাড়া এসব ত্রাণ ঢোকানো সম্ভব নয়।
সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা জোসে আন্দ্রেস বলেন, ‘আমাদের হাঁড়িতে খাবার নেই, আগুন নিভে গেছে। তবু ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন মানবতার সেবা করে যাবে।’
গাজায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের পরিচালক ওয়াধাহ হুবায়েশি বলেন, ‘সীমান্ত খুলে দেওয়া হলে আমরা প্রতিদিন ৫ লাখ মানুষের জন্য খাবার সরবরাহ করতে পারি।’
গাজায় চলমান ইসরায়েলি পরিকল্পিত খাদ্য সংকটের কারণেই ডব্লিউসিকের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। ইসরায়েল মার্চের শুরু থেকে গাজার সকল সীমান্ত বন্ধ করে দেয়।এতে খাদ্য, জ্বালানি ও পানি প্রবেশ একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। ডব্লিউসিকে ছাড়াও অনেক কমিউনিটি কিচেন ও ত্রাণ সংস্থা খাবারের অভাবে কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে।
ওএফ