Logo

আন্তর্জাতিক

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ

তুরস্কের যেসব পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ ভারত

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ মে ২০২৫, ০৯:২০

তুরস্কের যেসব পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ ভারত

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোয়ান /ছবি : সংগৃহীত

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) ও ভারত সীমান্তে পাকিস্তানের সামরিক অভিযানে তুরস্কের সরাসরি সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠে এসেছে। ভারতের সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ভারতীয় সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনায় হামলার জন্য তুরস্ক-নির্মিত ৩০০ থেকে ৪০০ ড্রোন ব্যবহার করেছে পাকিস্তান।

‘অপারেশন সিন্দুর’ নিয়ে আয়োজিত এক বিশেষ প্রেস ব্রিফিংয়ে ভারত সরকার জানায়, পাকিস্তানের এই ড্রোনগুলো লাদাখের লেহ থেকে গুজরাটের স্যার ক্রিক পর্যন্ত পশ্চিম সীমান্তের ৩৬টি স্থানে ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে।

ড্রোনগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি ভারতীয় সেনাবাহিনী গুলি করে নামিয়েছে। সরকার বলছে, ধ্বংস হওয়া ড্রোনগুলোর ফরেনসিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এগুলো তুরস্কের ড্রোন।

ভারতের এনডিটিভি জানায়, জম্মু-কাশ্মীরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তুরস্ক কোনো নিন্দা জানায়নি বা নিহত ভারতীয় পর্যটকদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতিও প্রকাশ করেনি। বরং, পাকিস্তানের প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন জানিয়েছে আঙ্কারা।

ভারতের দৃষ্টিতে তুরস্কের সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো তাদের জন্য অস্বস্তিকর। তুরস্কের বিভিন্ন কার্যক্রম নজরে রাখতে ভারত।

পাহেলগাম হামলার পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানই ছিলেন একমাত্র বৈশ্বিক নেতা যিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে দেখা করেন। সাক্ষাতের পর শাহবাজ শরিফ জানান, কাশ্মীর ইস্যুতে তুরস্কের ‘অটল সমর্থন’ তার সরকার কৃতজ্ঞচিত্তে গ্রহণ করছে।

পাহেলগাম হামলার পরপরই তুরস্ক পাকিস্তানে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম পাঠিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ছয়টি তুর্কি সামরিক বিমান পাকিস্তানে পৌঁছায়। যদিও তুরস্ক এ দাবি অস্বীকার করেছে।

তবে এর মধ্যে সি-১৩০ সামরিক বিমানের ফ্লাইট বৈশ্বিক নজরদারি সিস্টেমে ধরা পড়ে। আঙ্কারা দাবি করে, জ্বালানি নেওয়ার জন্য পাকিস্তানের একটি বিমানবন্দরে অবতরণ করে ফ্লাইটটি।

তুরস্কের এক জাহাজ পাকিস্তানের করাচি বন্দরে পৌঁছায়। তুরস্ক এটিকে ‘রুটিন সফর’ বললেও পাকিস্তান বলেছে এটি ‘ভ্রাতৃপ্রতিম সফর’।

অপারেশন সিন্দুরকে পাকিস্তানের ‘নাগরিক হত্যাযজ্ঞ’ উল্লেখ করে তুরস্ক প্রকাশ্যে পাকিস্তানের প্রতি সমর্থন জানায়। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, ‘এই হামলায় নিহতদের জন্য আল্লাহর রহমত কামনা করছি।’

৮ মে রাত থেকে ৯ মে ভোর পর্যন্ত প্রায় ৩০০-৪০০ তুর্কি ড্রোন পাকিস্তান ভারতীয় আকাশসীমায় ঢুকিয়ে দেয়। এসব ড্রোন সম্ভবত ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যাচাই ও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল বলে ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি জানিয়েছেন।

গত বছর পাকিস্তান তুরস্ক থেকে ৫.১৬ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কেনে। বর্তমানে তুরস্ক পাকিস্তানকে বায়রাক্তার টিবি-২, আকিনজি ড্রোন ও মিলগিম শ্রেণির চারটি করভেট সরবরাহ করছে। এর মধ্যে দুটি করভেট ইতোমধ্যে করাচিতে পৌঁছেছে, বাকি দুটি তৈরি হচ্ছে।

তুরস্ক ও পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ সামরিক ও কৌশলগত সহযোগিতা, বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদ ও কাশ্মীর নিয়ে একমত অবস্থান, ভারতের জন্য নতুন কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি করছে।

ওএফ

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

পাকিস্তান ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর