ভারতের এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দাবি পাকিস্তানের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ মে ২০২৫, ১০:৩৫

ভারতের এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দাবি পাকিস্তানের ?/ছবি : সংগৃহীত
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার চলমান সামরিক উত্তেজনা আরও তীব্র আকার নিচ্ছে। শনিবার (১০ মে) সকাল পর্যন্ত পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তান দাবি করেছে যে তারা ভারতের অত্যাধুনিক এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে।
ভারতের শীর্ষস্থানীয় কিছু ওয়েবসাইটে সাইবার হামলা চালিয়ে তা হ্যাক করার দাবিও করেছে পাকিস্তান। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য আসেনি। এই দাবিগুলো স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা ভারতের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এই অত্যাধুনিক রাশিয়ান প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভারতের জন্য একটি কৌশলগত অস্ত্র হিসেবে বিবেচিত।
এছাড়া পাকিস্তান জানায়, তারা ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির ওয়েবসাইটসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও রাজনৈতিক ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে। যদিও ভারতের ভেতরে থেকে বিজেপির ওয়েবসাইট সচল রয়েছে, ফলে এ দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এর আগে ভারত ৭ মে ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর আওতায় পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী ঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। পাল্টা জবাবে পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনইয়ান-উন-মারসুস’ পরিচালনা করে।
বর্তমানে উত্তর ও পশ্চিম ভারতের ৩২টি বিমানবন্দর এবং ২৫টি এয়ার ট্রাফিক রুট বন্ধ রয়েছে। এটি ১৪ মে পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এই পদক্ষেপ সাধারণ জনগণের চলাচলে বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে।
কাশ্মীর সীমান্ত, সিয়ালকোট, লাহোর ও করাচিতে রাতভর গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের খবর মিলেছে। একাধিক শহরে ভারী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও বিমান হামলার শব্দ শোনা গেছে।
পাকিস্তান এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের প্রতিক্রিয়ামূলক আক্রমণ শেষ এবং তারা ভারতের প্রতি কূটনৈতিক আলোচনায় ফেরার আহ্বান জানাচ্ছে। তবে ভারতের তরফে এখনো কোনো শান্তির বার্তা আসেনি, এবং সামরিক তৎপরতা থেমে নেই।
পাহালগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা এখন এক ভয়াবহ সামরিক সংঘাতে রূপ নিয়েছে। পাহেলগাম হামলার জবাব দিতে ৭ মে ভোররাতে ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে একযোগে কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী আইএসপিআর জানায়, এই হামলায় ২৪টি স্থানে আঘাত হানা হয়, যার মধ্যে কিছু সামরিক এবং কিছু বেসামরিক এলাকা অন্তর্ভুক্ত ছিল। এতে অন্তত ৩৩ বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৭৬ জন আহত হয়।
জবাবে পাকিস্তানও তাৎক্ষণিকভাবে পাল্টা আক্রমণ চালায়। তারা জানায়, পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানো হয়েছে, ধ্বংস করা হয়েছে একটি ভারতীয় ব্রিগেড সদর দফতর ও সীমান্তবর্তী কয়েকটি চৌকি।
এছাড়া, পাকিস্তান দাবি করেছে যে ৭ মে থেকে ১০ মে সকাল পর্যন্ত তারা ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাঠানো ৭৭টির বেশি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
ভারতীয় সরকার ৯ মে রাতে এক ব্রিফিংয়ে জানায়, পাকিস্তান তুরস্ক-নির্মিত ৩০০ থেকে ৪০০টি ড্রোন ব্যবহার করে ভারতের পশ্চিম সীমান্তের ৩৬টি পয়েন্টে আকাশসীমা লঙ্ঘন করে। এগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি ড্রোন গুলি করে নামানো হয়েছে। ধ্বংস হওয়া ড্রোনের ফরেনসিক বিশ্লেষণে জানা গেছে, এগুলো ছিল তুরস্কের।
ভারত অভিযোগ করেছে, এই ড্রোন হামলার মাধ্যমে পাকিস্তান ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কার্যকারিতা যাচাই এবং গোপন সামরিক তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করেছে।
সর্বশেষ শনিবার ভোরে ভারত পাকিস্তানের তিনটি বিমানঘাঁটিতে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এর পরপরই পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনইয়ান-উন-মারসুস’ নামে নতুন প্রতিশোধমূলক সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেয়।
সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো ছাড়াও পাকিস্তানের অভ্যন্তরে লাহোর, করাচিসহ বিভিন্ন শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
ওএফ