অপারেশন বুনইয়ান-উন-মারসুস
বিমান ঘাঁটিতে ভারতের হামলা, প্রতিশোধ নিল পাকিস্তান (ভিডিও)

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ মে ২০২৫, ১১:২৫

ফাতেহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ভারতের বিভিন্নস্থানে সফল হামলার দাবি করেছে পাকিস্তান /ছবি : সংগৃহীত
ভারতের পক্ষ থেকে চালানো হামলার পর পাল্টা জবাব দিয়েছে পাকিস্তান। শনিবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল পিটিভি জানায়, পাকিস্তান এই সামরিক অভিযানকে ‘বুনইয়ান-উন-মারসুস’ নামে অভিহিত করেছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লে. জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, শনিবার স্থানীয় সময় ভোর ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে ভারত পাকিস্তান বিমান বাহিনীর (পিএএফ) তিনটি ঘাঁটিতে হামলা চালায়—নূর খান (চাকলালা, রাওয়ালপিন্ডি), মুরিদ (চকওয়াল) ও রফিকি (শোরকোট)। তবে তিনি দাবি করেন, বিমান বাহিনীর সব সম্পদ নিরাপদে রয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ভারতের এই উন্মাদনা, আগ্রাসন ও প্রতারণা গোটা অঞ্চলকে বিপজ্জনক যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ভারত শুধু পাকিস্তানেই নয় বরং আফগানিস্তান ও ভারতের নিজেদের পাঞ্জাবেও ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
আইএসপিআরের প্রধান জানান, পাকিস্তান বিমান বাহিনীর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভারতের বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করে দিয়েছে। যে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে ঢুকে পড়ে, সেগুলোও কোনো ক্ষয়ক্ষতি করতে পারেনি বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
آپریشن بُنْيَانٌ مَّرْصُوْص (آہنی دیوار)اپڈیٹ
پاکستانی فتح 1 میزائل سسٹم دشمن پر قہر ڈھاتے ہوئے
پاکستانی فتح 1میزائل سسٹم کے ذریعے متعددبھارتی اہداف کو نشانہ بنایاگیا
پاکستانی فتح 1 میزائل سسٹم سے بھارتی اہداف کو نشانہ بنانے کی ایک اور ویڈیو منظر عام پر
حملے سے دشمن کے… pic.twitter.com/O4UCSsYYXW
তিনি বলেন, ভারত যেসব লক্ষ্য পূরণ করতে চেয়েছিল, সেগুলো প্রতিহত করতে আমরা সফল হয়েছি। তার ভাষায়, ভারত একটি বৃহৎ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এই আঞ্চলিক অস্থিরতা তৈরি করছে।
তিনি আরও জানান, পাকিস্তানের কাছে ভারতের প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্রের ইলেকট্রনিক সিগনেচার রয়েছে। যেখান থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে এবং কোথায় টার্গেট করা হচ্ছে সব তথ্য রেকর্ড করা আছে।
শনিবার ভোর ৪টা ৩৮ মিনিটে পিটিভি নিউজ জানায়, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতের আগ্রাসনের জবাবে বুনইয়ান-উন-মারসুস অভিযান শুরু করেছে। আর সকাল ৫টা ৫২ মিনিটে পাকিস্তান জানায়, ভারতের বিয়াস অঞ্চলে অবস্থিত ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের একটি ডিপো ধ্বংস করা হয়েছে। এর পাশাপাশি পঠানকোট ও উদমপুরে অবস্থিত দুটি বিমানঘাঁটি ধ্বংসের দাবি করে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের যোগাযোগমন্ত্রী আবদুল আলিম খান বলেন, শত্রুর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। পাকিস্তান জিন্দাবাদ, আল্লাহ আমাদের সৈন্যদের হেফাজত করুন।
পিপিপি সিনেটর শেরি রহমান দাবি করেন, পাকিস্তান শুধু সামরিক লক্ষ্যে হামলা চালিয়েছে। তার মতে, আজকের রাতের ভারতের আগ্রাসনে পাকিস্তানে সাধারণ নাগরিকদের উপর নির্বিচারে হামলা চালানো হয়েছে—এটাই পার্থক্য।
পিটিভি নিউজ জানায়, ভোর ৬টা ২৯ মিনিটে পাকিস্তানি ড্রোন ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির আকাশে সক্রিয় ছিল। এরপর সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতের সামরিক স্থাপনাগুলোতে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হচ্ছে।
সকাল ৭টা ১৩ মিনিটে পিটিভি জানায়, পাকিস্তানের জেএফ-১৭ থান্ডার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে ভারতের আদমপুরে এস-৪০০ ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে। এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মূল্য ছিল আনুমানিক ১.৫ বিলিয়ন ডলার।
পাকিস্তানি মিডিয়া আরও দাবি করেছে, ভারতের বহু গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছে—এর মধ্যে রয়েছে বিজেপি, বিএসএফ, সিআরআইএ, বিএমইএল, ইউআইডিএআই, হ্যাল, মহারাষ্ট্র নির্বাচন কমিশন ও ভারতীয় বিমান বাহিনীর কিছু ওয়েবসাইট। তাদের মতে, ২৫০০টির বেশি সিসি ক্যামেরাও হ্যাক করা হয়েছে।
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেন, গত তিন দিন ভারতের চালানো তামাশার পর পাকিস্তানের আর কোনো বিকল্প ছিল না। আমরা অনেক সহনশীলতা দেখিয়েছি, কিন্তু একটা সীমা আছে। আজকের এই প্রতিক্রিয়া সেই সীমা পেরিয়ে যাওয়ার ফল।
তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না, কিন্তু নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবই। কীভাবে শেষ হবে, তা ভারতের উপর নির্ভর করছে।
ওএফ