-6830779d86479.jpg)
ত্রাণবাহী ট্রাক দক্ষিণ-পূর্ব কেরেম শালোম ক্রসিং দিয়ে গাজা উপত্যকায় ঢুকেছে। ছবি : সংগৃহীত
টানা ১১ সপ্তাহ অবরোধের পর অবশেষে গাজায় প্রবেশ করেছে মানবিক সহায়তা। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পাঠানো ১০৭টি ত্রাণবাহী ট্রাক বৃহস্পতিবার (২২ মে) দক্ষিণ-পূর্ব কেরেম শালোম ক্রসিং দিয়ে গাজা উপত্যকায় ঢুকেছে বলে জানিয়েছে গাজার প্রবেশপথ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা ইসরায়েলি সংস্থা 'কোগাট'।
তবে এই ত্রাণ গাজার মানুষদের কাছে পৌঁছেছে কি না তা এখনো নিশ্চিত করেনি জাতিসংঘ।
কোগাট বলেছে, “আমরা গাজায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছাতে সহায়তা করে যাব, তবে চেষ্টা করব যেন এই ত্রাণ হামাসের হাতে না পড়ে।”
ইসরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে ত্রাণ চুরির অভিযোগ আনলেও হামাস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বিশ্ব খাদ্য সংস্থার কর্মকর্তা অঁতওয়ান রেনার্ড বিবিসিকে বলেন, প্রতিদিন ১০০টি ট্রাক শুধু গাজার খাবারের ন্যূনতম চাহিদা মেটানোর জন্য প্রয়োজন।
বিবিসির সংবাদদাতা জেরেমি বোয়েনের মতে, ২০ লাখের বেশি গাজাবাসীর জন্য এই ত্রাণ মোট চাহিদার তুলনায় একফোঁটা পানির সমান।
যুদ্ধ শুরুর আগে প্রতিদিন প্রায় ৫০০টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করত, যেখানে খাবার, ওষুধ, শিশু খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী থাকত। যুদ্ধ শুরু হলে এই সংখ্যা অনেক কমে যায়।এখন জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার মতে, গাজার মানবিক সংকট মোকাবিলায় প্রতিদিন অন্তত ৬০০টি ট্রাক প্রয়োজন।
মার্চের শুরু থেকে সব ত্রাণ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল, ফলে দুর্ভিক্ষের দোরগোড়ায় রয়েছে গাজাবাসী। মানবিক সংস্থাগুলো সতর্ক করছে-গাজার ২১ লাখ মানুষ মারাত্মক খাদ্য সংকটের মুখে রয়েছে।
জাতিসংঘ-সমর্থিত সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেস ক্লাসিফিকেশন বলেছে, সামনের মাসে পাঁচ লাখ মানুষ “চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায়” পড়বে। অপুষ্টির মাত্রা এমন হবে যে মৃত্যু ও ক্ষুধামৃত্যুর হার বেড়ে যাবে।
এমআই