Logo

আন্তর্জাতিক

হার্ভার্ডের বিদেশি শিক্ষার্থীদের ‘নাম ও দেশ’ জানতে চান ট্রাম্প

Icon

নিউইয়র্ক প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৫, ১০:০৬

হার্ভার্ডের বিদেশি শিক্ষার্থীদের ‘নাম ও দেশ’ জানতে চান ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে নতুন আক্রমণ করেছেন। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ হার্ভার্ডের বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করতে চাওয়ার পর রোববার তিনি বিদেশি শিক্ষার্থীদের নাম-পরিচয় জানতে চান।

ট্রাম্প লিখেছেন, হার্ভার্ড কেন বলছে না যে তাদের প্রায় ৩১ শতাংশ শিক্ষার্থী বিদেশি। এদের অনেকেই এমন দেশ থেকে এসেছে যারা যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু নয়। এই দেশগুলো তাদের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার জন্য কিছুই দেয় না, ভবিষ্যতেও দেওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই।

তিনি আরও লেখেন, কেউ আমাদের এসব বলেনি! আমরা জানতে চাই এই বিদেশি শিক্ষার্থীরা কারা— এটি একেবারে যৌক্তিক অনুরোধ। কারণ আমরা হার্ভার্ডকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার দিচ্ছি। অথচ হার্ভার্ড এই বিষয়ে স্পষ্ট নয়। আমরা নাম ও দেশ জানতে চাই। হার্ভার্ডের ৫২ বিলিয়ন ডলারের তহবিল আছে। তারা এটি ব্যবহার করুক এবং বারবার ফেডারেল সরকারের কাছ থেকে অনুদান চাওয়া বন্ধ করুক।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন রেকর্ড অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রায় ৬,৮০০ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। যা মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ২৭ শতাংশ।

এই শিক্ষার্থীরা ও তাদের পরিবার হার্ভার্ডকে টিউশন ফি দেয়। যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা সাধারণত পূর্ণ টিউশন দিয়ে পড়াশোনা করে থাকেন। অনেক সময় এদের অর্থায়নেই দেশীয় শিক্ষার্থীদের খরচের ভার কিছুটা লাঘব হয়।

তবে কিছু পর্যবেক্ষক মনে করছেন, ট্রাম্প যদি হার্ভার্ড থেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রবেশে বাধা দিতে পারেন, তাহলে আরও বেশি সংখ্যক মার্কিন শিক্ষার্থীর জন্য হার্ভার্ডে সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে।

ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে পুরনো ও ধনী বিশ্ববিদ্যালয় হার্ভার্ডের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ইহুদিবিরোধিতা ও বৈষম্য চলছে।

হার্ভার্ডের তহবিল ৫২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি, তবে বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আক্রমণ এবং ট্রাম্পের গবেষণা অনুদান বন্ধের পদক্ষেপ বিশ্ববিদ্যালয়টির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

হার্ভার্ডের আইনি চ্যালেঞ্জের পর শুক্রবার এক ফেডারেল বিচারক সাময়িকভাবে বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার আদেশ আটকে দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়টি আরও একটি মামলা করেছে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে, কারণ প্রশাসন হার্ভার্ডের বৈচিত্র্য সংক্রান্ত কার্যক্রম বন্ধ না করায় তাদের ফেডারেল তহবিল বরাদ্দ স্থগিত করেছে।

ট্রাম্পের এসব পদক্ষেপ উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার জন্য বৃহত্তর হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এখন এমন ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছে যাতে তারা ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভসহ নানা ইস্যুতে প্রেসিডেন্টের ক্ষোভ থেকে বাঁচতে পারে।

ওএফ

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর