বিশ্বজুড়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা কার্যক্রম আপাতত স্থগিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এবার চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসাও কঠোরভাবে বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (২৮ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে এই ঘোষণা দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।

তিনি বলেন, চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করা শুরু করবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত এক বিবৃতিতেও একই কথা বলা হয়েছে।

এ ছাড়া বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা ‘আগ্রাসীভাবে’ বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এই পদক্ষেপে এমন শিক্ষার্থীরাও অন্তর্ভুক্ত হবেন যাদের চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। পাশাপাশি সংবেদনশীল বা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পড়াশোনাকারীরাও এর অন্তর্ভুক্ত হবেন। 

এর আগে, গত সোমবার এক কূটনৈতিক বার্তায় মার্কো রুবিও বিশ্বজুড়ে মার্কিন দূতাবাসগুলোকে নতুন শিক্ষার্থী ভিসার জন্য আপয়েন্টমেন্ট কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেন। ওই বার্তায় বলা হয়, এই স্থগিতাদেশ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

অন্যদিকে বিবিসি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তের পেছনে চীনের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রভাব রয়েছে। ট্রাম্পের নেতৃত্বে বাণিজ্যযুদ্ধ, প্রযুক্তি খাত ও ভিসা নীতিতে নানা পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে দুই দেশের সম্পর্ক বিগত কয়েক মাসে তলানিতে ঠেকেছে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে আসা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চীন। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রে মোট বিদেশি শিক্ষার্থীর প্রায় এক-চতুর্থাংশই ছিল চীনা শিক্ষার্থী।

• এএ