উত্তর-পূর্ব ভারতে ভূমিধস ও হড়কা বানে নিহত ৩১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৫, ১২:২০

প্রবল বর্ষণ, ভূমিধস ও হড়কা বানে বিপর্যস্ত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল। গত দুই দিনে অঞ্চলটিতে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার একদিনেই ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যায় প্রাণ গেছে ১৪ জনের।
আসাম, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, মণিপুর ও মিজোরাম—এই পাঁচ রাজ্যে ধস ও বন্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। শুধু আসামেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত ৬০ হাজার মানুষ।
আসামে গত ২৪ ঘণ্টায় ভূমিধসে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সব মৃত্যুই কামরূপ মেট্রোপলিটন জেলার। গুয়াহাটির উপকণ্ঠ বন্ডা এলাকায় একটি ভূমিধসে তিন নারী মারা যান।
এদিকে গুয়াহাটিতে শুক্রবার একদিনেই ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা গত ৬৭ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এর ফলে ব্রহ্মপুত্রসহ উত্তর-পূর্বের বহু নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে।
আবহাওয়া বিভাগ আসামের কিছু অংশের জন্য রেড ও অরেঞ্জ এলার্ট এবং অন্যান্য রাজ্যের জন্য অরেঞ্জ ও ইয়েলো এলার্ট জারি করেছে।
শুক্রবার রাতে অরুণাচলের ইস্ট কামেং জেলায় ভয়াবহ এক ভূমিধসে একই পরিবারের সাত সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। এনএইচ-১৩ সড়কের বানার কাছে ভূমিধসের কারণে তাদের ব্রেজ্জা গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গভীর খাদে পড়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, দুর্ঘটনার সময় গাড়িটিতে দুটি পরিবার ছিল। মৃতদের পরিচয় পরিবারের সদস্যরাই শনাক্ত করেছেন।
ঘটনাস্থলে আরও একটি সুমো গাড়ি ভূমিধসের পাশে আটকে পড়েছিল। তবে সময়মতো সরিয়ে নেওয়ায় কেউ হতাহত হয়নি।
অরুণাচলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মামা নাটুং ফেসবুকে লিখেছেন, ভূমিধসে সাতজনের মৃত্যুতে আমি গভীর শোকাহত। বর্ষাকালে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানাই।
অরুণাচলের জিরো শহরের পাইনের পাশের ক্যাবেজ গার্ডেন এলাকায় শুক্রবার গভীর রাতে ভূমিধসে একটি রেস্তোরাঁ ধসে পড়ে। এতে রেস্তোরাঁয় কর্মরত এক নারী ও এক পুরুষ নিহত হন। উভয়েই আসামের লক্ষীপুর জেলার বাসিন্দা ছিলেন।
অরুণাচল পুলিশের উপ-অধীক্ষক (ডিএসপি) ওজিং লেগো জানান, দীর্ঘ অভিযান শেষে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উদ্ধারকাজে অংশ নেয় রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী, ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
ওএফ