ট্রাম্পের মেগা বিলকে ‘জঘন্য বিকৃতি’ বললেন ইলন মাস্ক

নিউইয়র্ক প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ১১:৩৪
-683fdaedaa7f1.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর ছাড় ও ব্যয়ের অগ্রাধিকারে প্রণীত নতুন ‘মেগা বিল’ নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রযুক্তি জায়ান্ট ইলন মাস্ক। তিনি এটিকে ‘জঘন্য বিকৃতি’ আখ্যা দিয়ে কংগ্রেসে বিলটির সমর্থকদের তীব্র ভাষায় দোষারোপ করেছেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ পোস্ট করা এক বার্তায় মাস্ক লেখেন, ‘দুঃখিত, কিন্তু আমি আর সহ্য করতে পারছি না। এই বিশাল, গর্হিত, পদের ঠাসা কংগ্রেসনাল ব্যয় বিল একটি জঘন্য বিকৃতি। যারা এর পক্ষে ভোট দিয়েছে, তাদের লজ্জা থাকা উচিত। তোমরা জানো, তোমরা ভুল করেছো।’
‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’ নামের এই প্রস্তাবটি ২০১৭ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের সময় প্রণীত করছাড় বহাল রাখে এবং সীমান্ত নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ায়। তবে বিলটিতে মেডিকেইড, খাদ্য সহায়তাসহ নানা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বরাদ্দ কমানোর প্রস্তাব রয়েছে, যা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক চলছে। বিলটি হাউসে পাস হয়ে বর্তমানে সিনেটে বিবেচনাধীন, যেখানে এটি কিছু সংশোধনীর মুখোমুখি হতে পারে।
এদিকে রিপাবলিকান স্পিকার মাইক জনসন ইলন মাস্কের মন্তব্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি ফক্স নিউজ ও এনবিসি নিউজকে জানান, মাস্ককে বিলের বিভিন্ন ধারা ব্যাখ্যা করে একটি ‘দীর্ঘ টেক্সট’ পাঠানো হয়েছে। জনসন জানান, এটি একটি ঐতিহ্যবাহী বাজেট বিল নয় বরং ‘সমন্বয় প্রক্রিয়া’য় পাস হতে পারে, যা সিনেটে ফিলিবাস্টার এড়াতে সক্ষম।
জনসন আরও বলেন, ইউএসএইড এবং পাবলিক ব্রডকাস্টিং খাতে ডোজ (Department of Government Efficiency)-এর প্রস্তাবিত ৯.৪ বিলিয়ন ডলারের বাজেট কাটছাঁটকে বাস্তবায়নে তিনি একটি দ্রুত প্যাকেজ আনছেন, যা হোয়াইট হাউস থেকে সিনেটে পাঠানো হয়েছে।
তবে মাস্ক তার অবস্থানে অটল রয়েছেন। এক অনুস্মারক পোস্টে তিনি বলেন, ‘এই বিল ইতোমধ্যেই বিশাল বাজেট ঘাটতিকে ২.৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছে দেবে এবং আমেরিকান নাগরিকদের ওপর অসম্ভব ঋণের বোঝা চাপাবে।’
কংগ্রেসনাল বাজেট অফিস বুধবার বিলটির সর্বশেষ সংস্করণের জন্য আনুমানিক ব্যয় বিশ্লেষণ প্রকাশ করবে বলে জানা গেছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট মাস্কের মন্তব্য প্রসঙ্গে জানান, ‘এই বিল নিয়ে এলন মাস্ক কী ভাবেন, প্রেসিডেন্ট তা জানেন। তবে এতে প্রেসিডেন্টের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসেনি।’
উল্লেখ্য, ইলন মাস্ক গত সপ্তাহেই সরকারে তার ‘ডোজ’ উপদেষ্টা পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
এমএইচএস