চীনা গবেষকদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ‘বিপজ্জনক জীবাণু’ পাচারের অভিযোগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ১৪:১৪
-68400078cfafd.jpg)
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ মঙ্গলবার জানিয়েছে, দুই চীনা বিজ্ঞানীর বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি বিষাক্ত ছত্রাক পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই চীনা বিজ্ঞানীরা একটি আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে জানা গেছে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির।
মিশিগানের পূর্বাঞ্চলীয় জেলার মার্কিন অ্যাটর্নি কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ৩৩ বছর বয়সী ইউনকিং জিয়ান এবং ৩৪ বছর বয়সী জুনিয়ং লিউর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, চোরাচালান, মিথ্যা বিবৃতি এবং ভিসা জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
জিয়ান মার্কিন হেফাজতে রয়েছেন, যদিও লিউ কোথায় আছেন তা অজানা।
বিচার বিভাগ বলেছে, এই প্রেমিক-প্রেমিকা ফুসারিয়াম গ্রামিনিয়ারাম নামক একটি ছত্রাক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাচারের ষড়যন্ত্র করেছিল। ক্ষতিকারক এই ছত্রাক মাথার ক্ষয় সৃষ্টি করে, যা গম, বার্লি, ভুট্টা ও ধানের একটি রোগ এবং প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি ডলারের অর্থনৈতিক ক্ষতির জন্য দায়ী এটি।
এতে বলা হয়েছে, ফুসারিয়াম গ্রামিনিয়ারামের বিষাক্ত পদার্থ মানুষ ও গবাদি পশুর বমি, লিভারের ক্ষতি এবং প্রজনন ত্রুটি সৃষ্টি করে। অভিযোগে বলা হয়, জিয়ান এবং তার প্রেমিক লিউ, দুজনেই এর আগে চীনে একই জীবাণু নিয়ে গবেষণা করে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ অনুসারে জানা গেছে, জিয়ান এবং তার প্রেমিক লিউ দুজনেই এর আগে চীনে ছত্রাকের ওপর কাজ করেছেন।
বিচার বিভাগ জানিয়েছে, ‘(লিউ) প্রথমে মিথ্যা বলেছিল কিন্তু পরে স্বীকার করেছে সে আমেরিকায় ফুসারিয়াম গ্রামিনিয়ারাম পাচার করেছে।’ তার ইচ্ছে ছিল যাতে সে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে এটি নিয়ে গবেষণা করতে পারে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে তার বান্ধবী জিয়ান কাজ করতেন।’
মার্কিন অ্যাটর্নি জেরোম গর্গন জুনিয়র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছত্রাকের পাচারকে ‘জাতীয় নিরাপত্তা’ উদ্বেগ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
গর্গন বলেন, ‘এই দুই বিদেশির বিরুদ্ধে আমেরিকার প্রাণকেন্দ্রে ‘সম্ভাব্য কৃষি সন্ত্রাসবাদের অস্ত্র’ হিসেবে বর্ণনা করা একটি ছত্রাক পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। তারা স্পষ্টতই তাদের পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পরীক্ষাগার ব্যবহার করার ইচ্ছা পোষণ করেছিল।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গত সপ্তাহে চীনা শিক্ষার্থীদের জন্য ‘আক্রমণাত্মকভাবে ভিসা বাতিল’ করার কথা বলেন। তবে বেইজিং এই পদক্ষেপকে ‘অযৌক্তিক’ এবং ‘বৈষম্যমূলক’ বলে নিন্দা জানিয়েছে।
বিএইচ/