বিক্ষোভের ঢেউয়ের মাঝেই গাজার কর্মীদের মুক্তির দাবি ম্যাক্রোঁর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৫, ১৭:০৬

গাজামুখী একটি ত্রাণবাহী জাহাজ আটকের ঘটনায় ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনা করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
আটক হওয়া জাহাজটিতে থাকা পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ সকল কর্মীকে দ্রুত মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এএফপি জানায়, সোমবারের এই অভিযান ইউরোপের বেশ কয়েকটি শহরে ব্যাপক বিক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনী ‘ম্যাডলিন’ নামের ওই জাহাজটি আটক করে। জাহাজটিতে ১২ জন কর্মী ছিলেন।
এর প্রতিবাদে ইউরোপজুড়ে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেয়।
ফ্রান্সে বামপন্থী দলগুলোর ডাকে প্যারিসসহ অন্তত পাঁচটি শহরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ‘ফ্রান্স আনবোউড (এলএফআই)’ পার্টির প্রধান জ্যাঁ-লুক মেলঁশোঁ ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এই জাহাজ আটককে ‘আন্তর্জাতিক জলদস্যুতা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
এদিকে, সুইজারল্যান্ডে ইসরায়েলের গাজা অভিযানের প্রতিবাদে কয়েক শ’ মানুষ জেনেভা ও লোজান শহরের রেলস্টেশন অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, জেনেভায় প্রায় ৩০০ মানুষ ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে প্রধান রেলস্টেশনের দুইটি রেললাইন প্রায় এক ঘণ্টা দখল করে রাখেন। এতে ট্রেন চলাচলে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটে।
কাছাকাছি লোজান শহরেও একই ধরনের বিক্ষোভ হয়। পরে পুলিশ রেললাইন খালি করে।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ জাহাজে আটক ১২ জন কর্মীর মধ্যে থাকা ফরাসি নাগরিকদের দ্রুত মুক্তির দাবি করেছেন।
তার কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ম্যাক্রোঁ ছয়জন ফরাসি নাগরিককে যত দ্রুত সম্ভব ফ্রান্সে ফিরিয়ে আনার অনুরোধ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ফ্রান্স ‘সতর্ক রয়েছে’ এবং ‘বিপদে থাকা তার সব নাগরিকের পাশে আছে।’
ফরাসি সরকার ইসরাইলের কাছে আটক কর্মীদের ‘নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করারও দাবি জানিয়েছে।
এদিকে, ম্যাক্রোঁ গাজার মানবিক অবরোধকে ‘একটি কেলেঙ্কারি’ ও ‘লজ্জাজনক ঘটনা’ বলেও মন্তব্য করেছেন।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘ম্যাডলিন’কে ব্যঙ্গ করে নাম দিয়েছে ‘সেলফি ইয়ট’।
মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজের সকল যাত্রী নিরাপদে ও অক্ষত আছেন এবং তারা আশা করছেন যে, জাহাজের সব কর্মী নিজ নিজ দেশে ফিরে যাবেন।
উল্লেখ্য, হামাস ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় কঠোর সামরিক অভিযান চালাচ্ছে এবং কার্যত এটি অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
বিএইচ/