Logo

আন্তর্জাতিক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

পুড়ে বিকৃত বেশিরভাগ মানুষের চেহারা, চেনার উপায় নেই

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ১৯:১৩

পুড়ে বিকৃত বেশিরভাগ মানুষের চেহারা, চেনার উপায় নেই

ভারতের গুজরাটে এয়ার ইন্ডিয়ার বিধ্বস্ত বিমানের ঘটনায় আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে পৌঁছেছে মারাত্মকভাবে পুড়ে যাওয়া অনেক মরদেহ। অনেকেরই চেহারা এতটাই বিকৃত যে শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত হওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে থাকা সবাই নিহত বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিমানটিতে মোট ২৪২ জন ছিলেন। যাদের ২৩২ জন যাত্রী ও ১০ জন ক্রু সদস্য। যাত্রীদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ ও একজন কানাডীয় নাগরিক ছিলেন। 

হাসপাতালের কিডনি ডিজিজ অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. প্রাঞ্জল মোদি দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, ‘যারা বেঁচে আছেন, তারাও অচেতন এবং ভয়ানকভাবে দগ্ধ হয়েছেন। তারা বিমানের যাত্রী ছিলেন, না কি দুর্ঘটনাস্থলের কেউ ছিলেন, সেটাও এখনো স্পষ্ট নয়।’

ডা. মোদি বলেন, ‘বেশিরভাগ রোগীই গুরুতর অবস্থায় আছেন। অনেকেরই চেহারা পুড়ে গেছে, শরীরের বেশিরভাগ অংশ দগ্ধ। আমাদের প্রথম লক্ষ্য হলো তাদের প্রাণ বাঁচানো।’

দগ্ধদের শনাক্ত করা কঠিন হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক রোগীর শরীরে এখনো সিটবেল্ট বাঁধা আছে। তাদের পকেট তল্লাশি করে পরিচয় শনাক্ত করাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

লন্ডনগামী ওই বিমানে পরিবারের সদস্যদের বিদায় জানাতে এসে এখন হাসপাতালে উৎকণ্ঠায় অপেক্ষা করছেন অনেক আত্মীয়স্বজন।

তাদেরই একজন আহমেদাবাদ-ভিত্তিক ব্যবসায়ী তৃপ্তি সোনি। তার ভাই স্বপ্নীল সোনি, ভাবি যোগা ও ননদ আল্পা সোনি ওই বিমানে ছিলেন। তৃপ্তি বলেন, ‘আমি এখানে হাসপাতালে অপেক্ষা করছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওদের সম্পর্কে কিছুই জানতে পারিনি।

তার পরিবার লন্ডনে বসবাসকারী বড় ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করে একটি পারিবারিক সফরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল।

আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতাল, যা রাজ্যের সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতাল এবং বিমানবন্দরের কাছেই অবস্থিত, এখন স্বজনহারা মানুষদের অপেক্ষার ভারে ভারাক্রান্ত।

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

ভারত

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর