ভারতে বিমান দুর্ঘটনা
একজনকে জীবিত উদ্ধার, যা বললেন তিনি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ২০:০২

বিমান দুর্ঘটনায় আহত বিশ্বাস কুমার রমেশ /ছবি : সংগৃহীত
ভারতের আহমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালে বিধ্বস্ত হওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটের এক আহত যাত্রীর খোঁজ মিলেছে। এর আগে আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার ফ্লাইটে থাকা সব যাত্রী নিহত হওয়ার আশঙ্কা করেছিলেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, হাসপাতালের সাধারণ ওয়ার্ডের একটি বিছানায় শুয়ে ছিলেন ৪০ বছর বয়সী বিশ্বাস কুমার রমেশ। তিনি বিমান দুর্ঘটনা থেকে প্রাণে বেঁচে গেছেন।
ব্রিটিশ নাগরিক বিশ্বাস কুমার পরিবারের সাথে দেখা করতে কয়েকদিনের জন্য ভারতের আসেন। তার ভাই অজয় কুমার রমেশের (৪৫) সঙ্গে লন্ডনে ফিরছিলেন।
তিনি বলেন, ‘টেকঅফের ৩০ সেকেন্ড পর হঠাৎ একটি ভয়াবহ শব্দ হয় এবং তারপর বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। সবকিছু খুব দ্রুত ঘটে গিয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিমানের ধাক্কায় আমার বুক, চোখ ও পায়ে আঘাত লেগেছে।’
বিশ্বাস ও তার ভাই অজয় প্লেনে আলাদা সারিতে বসেছিলেন। বিমানটি গেটউইক যাওয়ার উদ্দেশে আহমেদাবাদ থেকে উড্ডয়ন করেছিল। যাতে ক্রুসহ ২৪২ জন ছিলেন। বিমানটি উড্ডয়নের এক মিনিটের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয়ে ভয়াবহ আগুন ধরে যায়।
এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ২৩২ যাত্রীর মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ ও একজন কানাডিয়ান ছিলেন।
বিশ্বাস কুমার বলেন, ‘আমি যখন উঠে দাঁড়াই, চারপাশে মরদেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। আমি ভয় পেয়েছিলাম। আমি উঠে দৌড়াই। চারদিকে বিমানের ধ্বংসাবশেষ ছড়ানো ছিল। কোনো এক ব্যক্তি হাত ধরে আমাকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলেন। পরে আমাকে হাসপাতালে আনা হয়।’
বিশ্বাস কুমার গত ২০ বছর ধরে লন্ডনে বসবাস করছেন। তার স্ত্রী ও সন্তানও লন্ডনে রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, ‘আমার ভাই অজয় প্লেনের অন্য সারিতে বসেছিলেন। আমরা দু’জনে গুজরাটের দিঊ ভ্রমণে গিয়েছিলাম। তিনি আমার সঙ্গে ছিলেন, কিন্তু এখন তাকে খুঁজে পাচ্ছি না। অনুগ্রহ করে আমার ভাইকে খুঁজে বের করতে সাহায্য করুন।’
হাসপাতালে বিমানযাত্রীদের স্বজনরা তাদের প্রিয়জনদের খোঁজে ব্যস্ত ছিলেন।
তাদের মধ্যে ছিলেন গুজরাটের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানির পরিবার। রুপানির সঙ্গে কাজ করা সৈলেশ মন্ডলিয়া হাসপাতাল থেকে তার সন্ধান করছিলেন।
ওএফ