ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় একযোগে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (১৩ জুন) ভোররাতে চালানো এই হামলাকে ‘মূল অভিযানের সূচনা’ বলে উল্লেখ করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘প্রয়োজনে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

এদিকে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, রাতের আঁধারে চালানো এই হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান (চিফ অব স্টাফ) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি এবং রেভল্যুশনারি গার্ডস বাহিনীর কমান্ডার হোসেইন সালামি নিহত হয়েছেন।

ইরানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, হামলার সময়  স্থাপনাগুলোতে একাধিক উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী উপস্থিত ছিলেন।

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো আরও জানায়, হামলায় ইরানের শীর্ষ পারমাণবিক বিজ্ঞানী ফারিদ আব্বাসি ও মোহাম্মদ মাহদিও নিহত হয়েছেন।

অন্যদিকে, ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও গার্ডস কমান্ডার বা সামরিক প্রধানের মৃত্যুর বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি এখনো দেয়নি। তবে স্থানীয় সূত্র বলছে, হামলায় বেশ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা ও বেসামরিক শিশু প্রাণ হারিয়েছে।

ইরান জানিয়েছে, হামলায় আবাসিক এলাকাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে বহু বেসামরিক মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। হামলার পরপরই তেহরানে জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সতর্কতা। জনগণকে ঘরে অবস্থান এবং সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই হামলার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হতে পারে। ইরান যেকোনো সময় প্রতিশোধমূলক হামলা চালাতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা।

সূত্র :  এক্সপ্রেস ট্রিবিউন উর্দু, রয়টার্স, সিএনএন

• এটিআর