ইসরায়েলের জন্য তীব্র বেদনাদায়ক পরিণতি আসছে : খামেনি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৫, ০৯:৫১

ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় একযোগে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (১৩ জুন) ভোররাতে চালানো এই হামলাকে ‘মূল অভিযানের সূচনা’ বলে উল্লেখ করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘প্রয়োজনে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
এদিকে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, রাতের আঁধারে চালানো এই হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান (চিফ অব স্টাফ) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি এবং রেভল্যুশনারি গার্ডস বাহিনীর কমান্ডার হোসেইন সালামি নিহত হয়েছেন।
ইরানের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, তেহরান শহরের বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এর মধ্যে কিছু আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীজুড়ে। হামলার পরই নিরাপত্তার কারণে তেহরানের ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সব ধরনের উড়োজাহাজ চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। আকাশপথেও আরোপ করা হয়েছে নানা বিধিনিষেধ।
এমন পরিস্থিতিতে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ-তে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই জঘন্য হামলার মাধ্যমে ইসরায়েল নিজেই নিজের জন্য তীব্র ও বেদনাদায়ক পরিণতি ডেকে এনেছে। সেই পরিণতি তারা অবশ্যই ভোগ করবে।
খামেনি বলেন, আজ ভোরে জায়নিস্ট শাসকগোষ্ঠী আমাদের প্রিয় দেশ ইরানের আবাসিক এলাকায় হামলা চালিয়ে তাদের রক্তাক্ত ও অপরাধী চরিত্র আরও একবার প্রকাশ করেছে। এই বর্বরতার কঠোর জবাব দেওয়া হবে। সশস্ত্র বাহিনীর শক্তিশালী হাত ইনশাআল্লাহ তাদেরকে ছাড় দেবে না।
তিনি আরও বলেন, শত্রুর এই হামলায় আমাদের কয়েকজন কমান্ডার ও বিজ্ঞানী শহীদ হয়েছেন। কিন্তু তাদের সহকর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্ব নিয়ে দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করবেন। ইরানের প্রতিরক্ষা বন্ধ থাকবে না।
ইরানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইসরায়েলের হামলার কঠোর জবাব দেওয়া হবে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলায় ওয়াশিংটনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, আমেরিকান ঘাঁটিগুলোর দিকে যেন ইরান পাল্টা হামলার চেষ্টা না করে। এই হামলার ঠিক আগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিকভাবে সমস্যা সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে। সরাসরি যুদ্ধের আশঙ্কাও বাড়ছে।
সূত্র : আল জাজিরা
- এটিআর