Logo

আন্তর্জাতিক

ইরান ও ইসরায়েল : সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে?

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২৫, ০৯:০৬

ইরান ও ইসরায়েল : সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে?

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে আলোচনায় এসেছে ইরান ও ইসরায়েলের সামরিক সক্ষমতা। দুই দেশের হামলা পাল্টা হামলার প্রেক্ষাপটে হচ্ছে সামরিক শক্তির বিশ্লেষণ।

সাম্প্রতিক এক আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, সক্রিয় সামরিক বাহিনীর ক্ষেত্রে ইরান অনেক এগিয়ে। দেশটির প্রায় ৬ লাখ ১০ হাজার সক্রিয় সেনা রয়েছে। এর মধ্যে ইরানি সেনাবাহিনী বা 'আর্টেড'–এ কর্মরত রয়েছেন প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার সদস্য। বিপ্লবী গার্ড বা আইআরজিসিতে যুক্ত আরও ১ লাখ ৯০ হাজার সেনা রয়েছে, যারা মূলত দেশটির রক্ষণনীতির কৌশলগত স্তম্ভ হিসেবে কাজ করেন।

ইরানের সামরিক কাঠামোতে নৌবাহিনীতে যুক্ত আছেন প্রায় ১৮ হাজার, বিমানবাহিনীতে ৩৭ হাজার এবং বিমান প্রতিরক্ষা শাখায় কর্মরত রয়েছেন আরও ১৫ হাজার সদস্য। রিজার্ভ ফোর্সের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার। দেশটিতে ১৮ বছরের বেশি বয়সী পুরুষদের জন্য সামরিক সেবা প্রায় বাধ্যতামূলক।

অন্যদিকে, ইসরায়েল সংখ্যায় কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও প্রযুক্তি ও প্রতিক্রিয়া সক্ষমতার দিক দিয়ে তুলনামূলকভাবে আধুনিক ও কৌশলগতভাবে সজ্জিত একটি বাহিনী পরিচালনা করে। দেশটির সক্রিয় সেনা সদস্যের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫০০। এর মধ্যে সেনাবাহিনীতে ১ লাখ ২৬ হাজার, বিমানবাহিনীতে ৩৪ হাজার এবং নৌবাহিনীতে ৯ হাজার ৫০০ জন কাজ করছেন।

তবে ইসরায়েলের প্রকৃত শক্তি রিজার্ভ বাহিনীতে। সেখানে প্রায় ৪ লাখ ৬৫ হাজার সদস্য সর্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকে, যারা জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত সক্রিয় হয়ে ওঠে। দেশটিতেও ১৮ বছর পার হলে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক, যদিও কিছু ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান সংখ্যায় এগিয়ে থাকলেও ইসরায়েল যুদ্ধ কৌশল, গোয়েন্দা প্রযুক্তি এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় বেশি দক্ষ। ফলে সরাসরি যুদ্ধে জয়-পরাজয় শুধু সংখ্যা নির্ভর না হয়ে দাঁড়ায় কৌশল, প্রযুক্তি এবং আন্তর্জাতিক সমর্থনের ওপর।

এমএইচএস

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ যুদ্ধ ইরান

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর