ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার প্রেক্ষিতে পাকিস্তান শনিবার স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছে, তারা ইরানের পাশে থাকবে এবং মুসলিম বিশ্বের ঐক্যের ডাক দিয়েছে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ পার্লামেন্টে ভাষণ দিতে গিয়ে এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল ইরান, ইয়েমেন ও ফিলিস্তিনকে একের পর এক টার্গেট করছে। মুসলিম রাষ্ট্রগুলো যদি এখনই এক না হয়, তাহলে একে একে সবাইকেই একই পরিণতির শিকার হতে হবে।’

প্রতিরক্ষামন্ত্রী আসিফ বলেন, যেসব মুসলিম দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে, তাদের এখনই তা ছিন্ন করা উচিত। 

একইসঙ্গে তিনি ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা জরুরি বৈঠক ডেকে একটি সম্মিলিত কৌশল প্রণয়ন করে।

তিনি বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে ইরানের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এই কঠিন সময়ে ইসলামাবাদ তেহরানের পাশে আছে এবং আন্তর্জাতিক প্রতিটি মঞ্চে তাদের স্বার্থ রক্ষায় পাশে থাকবে।

পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারও এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের হামলাকে ইরানের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান ইরান সরকারের ও ইরানবাসীর পাশে আছে।’

পরে তিনি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে পাকিস্তানের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

শুক্রবার ভোরে ইসরায়েল ইরানে ব্যাপক হামলা চালায়। পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনায় চালানো এ হামলায় ১০৪ জনের বেশি নিহত হন। যাদের মধ্যে ছিলেন ইরানের সেনাপ্রধান, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের কমান্ডারসহ শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীরা। আহত হন প্রায় ৩৮০ জন।

জবাবে ইরান ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে পাল্টা হামলা চালায়। এতে তিনজন নিহত ও অন্তত ১৭০ জন আহত হন।

তুরস্ক ও পাকিস্তানসহ বেশ কয়েকটি দেশ ইসরায়েলের এ হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছে। ওআইসি এক বিবৃতিতে হামলার নিন্দা জানিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ইসরায়েলকে থামাতে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

ওএফ