ইসরায়েলি হামলায় ইরানের বিচার মন্ত্রণালয় ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান।

শনিবার রাতভর ইরানের হামলায় ইসরায়েলে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে, ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় ৩০ জন সেনা সদস্যসহ ৩১ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

হামলা না থামালে ইসরায়েলকে ‘আরও কঠোর জবাব’ দেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। অন্যদিকে, ইরানের হামলায় ইসরায়েলে বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যুর ঘটনায় ইরানকে ‘চড়া মূল্য’ দিতে হবে বলে হুঁশিয়ার উচ্চারণ করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ‘শিগগিরই’ শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে, উত্তেজনা কমানোর আহ্বান যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের।

ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ইরান।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ‘পুরোপুরি সমন্বিতভাবে’ কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এর আগে তিনি আমেরিকানদের সমর্থন চেয়েছিলেন।

ইসফাহানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালানোর মাধ্যমে ইসরায়েল ইতোমধ্যেই ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জনের প্রচেষ্টাকে ‘বেশখানিকটা’ ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বলেও দাবি করেছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)। সোমবার (১৬ জুন) সকালে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অবস্থিত সংস্থাটির সদর দপ্তরে ওই বৈঠক শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত থাকলে কোনো পারমাণবিক আলোচনা হবে না।

ইরানের সাবেক যুবরাজ রেজা পাহলভি বলেন, ‘সরকার পরিবর্তনের জন্য এটি একটি সুযোগ।’ তথ্যসূত্র-বিবিসি 

এমবি