সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৫, ১৩:৩১

ছবি : সংগৃহীত
ইরান ইসরায়েল সংঘাতের চতুর্থ দিনে সোমবার সকালে ইসরায়েলে চালানো ইরানের হামলাকে বলা হচ্ছে এ পর্যন্ত চালানো হামলার মধ্যে সবচেয়ে তীব্র এবং বড় আকারের। ইরানি হামলায় এ পর্যন্ত ইসরায়েলে মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে অন্তত ২০ জন। আর শুক্রবার থেকে ইসরায়েলি হামলায় ইরানে ২২৪ জন নিহত হয়েছেন।
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সোমবার নির্ধারিত বিশেষ বৈঠকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোয় ইসরায়েলের হামলা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
সংস্থাটির পরিচালনা পর্ষদের এই বৈঠক রাশিয়ার অনুরোধে ডাকা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসি শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে জানান, ইসরায়েল ইরানের ইসফাহান ও ফোর্দো পারমাণবিক স্থাপনা এবং নাতাঞ্জের প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
এই হামলায় দুইজন পারমাণবিক বিজ্ঞানীসহ ছয়জন বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, সোমবার ইরানের সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের কয়েকটি স্থান ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সেখানকার দমকল বাহিনী জানিয়েছে, ভূমধ্যসাগর উপকূলে একটি আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
সাধারণ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার ঠিক পরপরই সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, "হোমফ্রন্ট কমান্ড সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ টিমগুলোকে ইসরায়েলের এসব ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে পাঠানো হয়েছে"।
ফায়ার সার্ভিস বলেছে, উদ্ধারকর্মীরা উপকূলবর্তী একটি ভবনের দিকে যাচ্ছেন, যেটি সরাসরি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থা, মাগেন ডেভিড আদম- এমডিএ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে তাদের দল উপকূলীয় শহর হাইফাতে মোতায়েন রয়েছে এবং সেখানে কয়েকটি গাড়িতে আগুন লেগেছে এবং একটি আবাসিক ভবনের সামনের অংশ বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।
এমডিএ জানিয়েছে, তারা হামলায় আহত সাতজনকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে, যার মধ্যে ৭২ বছর বয়সী একজন নারীও আছেন।
তাকে উত্তর ইসরায়েলের একটি শহরে পাঠানো হয়েছে, যেখানে “একটি ভবন ও যানবাহন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পুড়ে গেছে” বলে রিপোর্ট করা হয়েছে।
এমআই