যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধের তালিকায় আরও ৩৬ দেশ বিবেচনায়

নিউইয়র্ক প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৫, ১৬:০৭
-684fecf313418.jpg)
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধের তালিকায় আরও ৩৬টি দেশ যুক্ত করার বিষয়ে বিবেচনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। স্টেট ডিপার্টমেন্টের অভ্যন্তরীণ এক কূটনৈতিক কেবল বার্তার ভিত্তিতে এমন খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১২টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত “বিদেশি সন্ত্রাসবাদী ও জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি” মোকাবেলায় প্রয়োজনীয়।
রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদ শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই এই কঠোর অভিবাসন নীতির বাস্তবায়ন শুরু হয়। এরই অংশ হিসেবে শত শত ভেনেজুয়েলান নাগরিককে এল সালভাদরে ফেরত পাঠানো হয় এবং অনেক বিদেশি শিক্ষার্থীকে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওই কেবল বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ৩৬টি দেশকে 'উদ্বেগজনক' হিসেবে উল্লেখ করেন। বলা হয়, এসব দেশ নির্ধারিত মানদণ্ড ও নিরাপত্তা শর্ত ৬০ দিনের মধ্যে পূরণে ব্যর্থ হলে তাদের নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
প্রধান উদ্বেগগুলোর মধ্যে রয়েছে— সরকারের পাসপোর্ট নিরাপত্তা দুর্বলতা, নির্ভরযোগ্য পরিচয়পত্র ইস্যুতে ব্যর্থতা, নিজ দেশের নাগরিককে ফেরত নিতে অনীহা এবং মার্কিন ভিসার শর্ত ভঙ্গ করে দীর্ঘ সময় অবস্থানের অভিযোগ।
অভিযোগ আছে, কিছু দেশের নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ইহুদি বা আমেরিকাবিরোধী তৎপরতার সঙ্গেও জড়িত।
নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে যাওয়া দেশগুলোর তালিকায় রয়েছে: অ্যাঙ্গোলা, ভূটান, ক্যামেরুন, ডোমিনিকা, মিশর, ইথিওপিয়া, ঘানা, কিরগিজস্তান, লাইবেরিয়া, নাইজেরিয়া, সিরিয়া, জাম্বিয়া, জিম্বাবুয়ে প্রভৃতি।
ইতোমধ্যে যেসব দেশের ওপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে- আফগানিস্তান, মিয়ানমার, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, ইয়েমেনসহ ১২টি দেশ। পাশাপাশি বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, তুর্কমেনিস্তানসহ আরও সাতটি দেশের নাগরিকদের প্রবেশ আংশিকভাবে সীমিত করা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ অভিবাসননীতিতে আরও কঠোরতা আনবে, যা বৈশ্বিকভাবে বহু দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে।
কেই/এমএইচএস