যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আকস্মিকভাবে হোয়াইট হাউজের ‘সিচুয়েশন রুমে’ জাতীয় নিরাপত্তা দলের সদস্যদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৬ জুন) তিনি এ বৈঠকের ডাক দেন। ওই সময় ট্রাম্প কানাডায় জি-৭ সম্মেলনে থাকলেও সফর সংক্ষিপ্ত করে হঠাৎ দেশে ফিরছেন তিনি। 

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ বৈঠক এবং ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার আহ্বান ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ যুদ্ধসূচক বার্তা হতে পারে। এতে করে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ইরান ও ইসরায়েলকে ঘিরে নতুন করে যুদ্ধাবস্থার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, তেহরানের সাধারণ মানুষদের এখনই নিরাপদে অন্যত্র সরে যাওয়ার সময় এসেছে। তাঁর এই মন্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে।

এদিকে, মার্কিন কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন সদস্য যুদ্ধ সম্ভাবনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। ইতোমধ্যে আটজন প্রভাবশালী সিনেটর সম্ভাব্য যুদ্ধে জড়ানোর সিদ্ধান্তে ভেটো দিয়েছেন। তারা যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধ পরিস্থিতি থেকে দূরে রাখতে আহ্বান জানাচ্ছেন।

সাম্প্রতিক সময়ের ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা এবং যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ঘিরে গোটা মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, হোয়াইট হাউজের এই আকস্মিক বৈঠক কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে এখনো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের পেছনের আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেয়নি হোয়াইট হাউজ।