
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার চলমান উত্তেজনার কারণে জেরুজালেমে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস এবং তেল আবিবের কনস্যুলার অফিস আগামী শুক্রবার (২১ জুন) পর্যন্ত সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। বুধবার (১৮ জুন) এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলের ‘হোম ফ্রন্ট কমান্ড’-এর নিরাপত্তা নির্দেশনা অনুসারে এই বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে মার্কিন কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারকে নিজ নিজ বাসস্থানের ভেতরে বা আশেপাশে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।
দূতাবাস আরও জানায়, ‘বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা আমাদের সব সরকারি কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে নির্দেশ দিয়েছি। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত কেউ বাসার বাইরে না যাওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’
তবে, বেসরকারি মার্কিন নাগরিকদের জন্য এখনই ইসরায়েল ত্যাগে কোনো সহায়তা দেওয়া সম্ভব নয় বলেও উল্লেখ করেছে দূতাবাস। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলা হয়, তারা এই মুহূর্তে মার্কিন নাগরিকদের ইসরায়েল থেকে সরিয়ে নেওয়ার মতো সক্ষমতা রাখে না।
ইতোমধ্যে দেশটির বেন গুরিওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্থগিত রয়েছে বাণিজ্যিক ও চার্টার ফ্লাইট চলাচল। পাশাপাশি সমুদ্রবন্দরগুলোও বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে জর্ডানের সঙ্গে সংযোগকারী স্থলপথগুলো এখনো খোলা রয়েছে।
এদিকে, ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, তারা ফাত্তাহ নামের একটি শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম হয়েছে। এতে তারা দখলকৃত ভূখণ্ডের আকাশসীমায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
আইআরজিসি’র বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই হামলার মাধ্যমে আমরা প্রতিপক্ষ রাষ্ট্রগুলোকে স্পষ্ট বার্তা পৌঁছে দিয়েছি, ইসরায়েলি নাগরিকরা এখন আমাদের হামলার মুখে পুরোপুরি অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে।’
সূত্র : আল জাজিরা