ইসরায়েলের আকাশসীমা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি ইরানের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৫, ১০:১২

তেল আবিবে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা | ছবি: এপি
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, তারা ফাত্তাহ নামের একটি শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম হয়েছে। এতে তারা দখলকৃত ভূখণ্ডের আকাশসীমায় সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে বলে দাবি জানিয়েছে।
আইআরজিসি’র বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই হামলার মাধ্যমে আমরা প্রতিপক্ষ রাষ্ট্রগুলোকে স্পষ্ট বার্তা পৌঁছে দিয়েছি, ইসরায়েলি নাগরিকরা এখন আমাদের হামলার মুখে পুরোপুরি অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে।’
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে (১৭ জুন) ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রকাশ্য হুমকির জবাবে তিনি লিখেছেন, ‘মর্যাদাবান হায়দারের নামে যুদ্ধ শুরু হলো।’
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে এ ঘোষণাকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের ধারাবাহিক বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ইরানের ভেতরে ৪৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইরানও হামলা চালিয়েছে তেল আবিব, হাইফাসহ বিভিন্ন স্থানে।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই ট্রাম্প একাধিকবার ইরান ও খামেনিকে লক্ষ্য করে হুমকি দেন। এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা জানি তথাকথিত সর্বোচ্চ নেতা কোথায় লুকিয়ে আছেন। তিনি খুব সহজ লক্ষ্যবস্তু। চাইলে এখনই তাকে বের করে আনতে পারি, কিন্তু তা করছি না— কমপক্ষে এই মুহূর্তে নয়।’
আরেক পোস্টে তিনি জানান, ‘আমাদের ধৈর্য ফুরিয়ে আসছে। আমরা চাই না ইরান বেসামরিক নাগরিক বা মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করুক।’ এরপরই দেওয়া হয় আরেকটি পোস্ট— ‘ইরানের আকাশসীমা এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে।’ সবশেষ পোস্টে ট্রাম্পের সংক্ষিপ্ত বার্তা ছিল, ‘আনকন্ডিশনাল সারেন্ডার!’ (নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ)।
এই ধারাবাহিক হুমকির জবাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ আয়াতুল্লাহ খামেনি লেখেন, ‘সন্ত্রাসী ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর জবাব দিতে হবে। আমরা ইহুদিবাদীদের কোনো দয়া দেখাব না।’
প্রসঙ্গত, ইসলামের ইতিহাসে ‘হায়দার’ নামটি হজরত আলী (রা.)-এর অন্যতম উপাধি। ইরানসহ অন্যান্য দেশের শিয়া সম্প্রদায়রা তাকে তাদের প্রথম ইমাম হিসেবে মানেন।
সূত্র : আল জাজিরা
- এটিআর