ইরান হামলার সম্ভাবনায় ট্রাম্পের ‘মাগা’ ঘাঁটিতে উত্তেজনা

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৫, ১২:৫০

যুক্তরাষ্ট্রের ইরানে সম্ভাব্য হামলার পরিকল্পনা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক জোটে বিভাজন সৃষ্টি করেছে। অনেকেই বিশেষ করে তার ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন (মাগা)’ ঘাঁটির সমর্থকরা—মধ্যপ্রাচ্যে নতুন যুদ্ধে জড়ানোর বিরোধিতা করছেন।
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ রিপাবলিকান মিত্রদের মধ্যে যেমন স্টিভ ব্যানন, যারা সাধারণত তার বিচ্ছিন্নতাবাদী নীতির সঙ্গে একমত, তারাও এবার ভিন্ন অবস্থানে। ওয়াশিংটনের এক অনুষ্ঠানে ব্যানন বলেন, ‘আমরা আবার এটা করতে পারি না। আরেকটা ইরাক চাই না।’
ট্রাম্প যখন শান্তিপূর্ণ কূটনৈতিক সমাধানের পথে ছিলেন, সেখান থেকে সরে এসে ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়ে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক হামলার দিকেই ঝুঁকছেন। এ নিয়ে রিপাবলিকান পার্টির ‘অ্যান্টি-ইন্টারভেনশনিস্ট’ অংশে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
বিশেষ করে ইসরায়েলের পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংসে মার্কিন ‘বাংকার বাস্টার’ বোমা ব্যবহারের সম্ভাবনা এবং মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সংঘাতের হুমকি—এগুলো ট্রাম্পের ঘাঁটির একাংশের মধ্যে বিরক্তি তৈরি করছে।
ট্রাম্প যদিও বলেন, ‘আমি লড়াই চাই না। কিন্তু যদি ইরান পরমাণু অস্ত্র পায়—তা ঠেকানো জরুরি।’ তবুও তার এ অবস্থান নিয়ে তার ঘাঁটির অনেকেই সন্তুষ্ট নন।
প্রভাবশালী ‘মাগা’ কণ্ঠস্বর টাকার কার্লসন ও মার্জোরি টেইলর গ্রিনও এ নিয়ে প্রকাশ্যে বিরোধিতা করছেন। গ্রিন বলেন, ‘যারা ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে জড়াতে চায়, তারা ‘মাগা’ নয়। আমরা বিদেশি যুদ্ধে ক্লান্ত।’
কার্লসন ও সিনেটর টেড ক্রুজের মধ্যে এ নিয়ে বিতর্কিত এক সাক্ষাৎকার ভাইরাল হয়েছে। যেখানে কার্লসন বলেন, ‘আপনি ইরান সম্পর্কে কিছুই জানেন না!’ জবাবে ক্রুজ বলেন, ‘আমি টাকার কার্লসন নই। তবে আমি জানি কীভাবে দায়িত্ব নিতে হয়।’
এমন উত্তেজনার মধ্যেও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেন, ‘ট্রাম্প এ ইস্যুতে আস্থা অর্জন করেছেন। এখন সিদ্ধান্ত তারই।’ ট্রাম্প জানিয়েছেন, তার কিছু ধারণা রয়েছে। তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি।
ইমা/এমবি