-685504e509627.jpg)
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধ এখন অষ্টম দিনে পড়েছে। আর গোটা বিশ্ব নজর রাখছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কী সিদ্ধান্ত নেন সেটি দেখার জন্য।
ট্রাম্প বলেন, তিনি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন যে ইসরায়েলের পক্ষ হয়ে তার দেশ ইরানের বিরুদ্ধে সংঘাতে জড়াবে নাকি না।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ট্রাম্প মনে করছেন ইরানের সঙ্গে আলোচনার ‘উল্লেখযোগ্য সুযোগ’ রয়েছে।
বিবিসির মার্কিন সংযোগী গণমাধ্যম সিবিএস নিউজ জানায়, ট্রাম্প ইরানে হামলার পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছেন। তবে হামলা করবেন কি না, সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি।
সিবিএস আরও জানায়, ট্রাম্প ইরানের ফোর্দো পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র, যেটি ভূগর্ভে অবস্থিত, তাতে হামলা চালানোর বিষয়টি বিবেচনা করছেন।
কেবল যুক্তরাষ্ট্রেরই এমন বোমা রয়েছে যা ওই ভূগর্ভস্থ স্থাপনাটি ধ্বংস করতে সক্ষম হতে পারে।
এদিকে, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাতে জড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দুই সপ্তাহ সময় নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়ে শুক্রবার (২০ জুন) সকালে যুক্তরাজ্যের কিছু সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় বড় করে প্রকাশিত হয়েছে।
ডেইলি টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘তার অবস্থান কিছুটা নরম করছেন বলে মনে হচ্ছে’। কারণ তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালাবে কি না- সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তিনি আরও দুই সপ্তাহ সময় নেবেন’।
‘আলোচনা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় তিনি তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিচ্ছেন না’।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমস বলেছে, এ দুই সপ্তাহের সময়সীমা ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য আলোচনার দ্বার খুলে দিতে পারে।
অন্যদিকে, সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস’ ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত দুই সপ্তাহ ‘স্থগিত’ করাকে ‘ধ্বংসের কিনারা থেকে এক ধাপ পিছিয়ে আসা’ বলে বর্ণনা করেছে।
পত্রিকাটি বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট এখন একটি ‘বেরিয়ে যাওয়ার পথ’ খুঁজছেন। কারণ তার উপদেষ্টারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ঘাঁটিগুলো ইরানের হামলার টার্গেট হতে পারে। তথ্যসূত্র-বিবিসি।
এমবি