
১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের আগে পর্যন্ত ইরান ও ইসরায়েল ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল /ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সংঘাত বহু দশক ধরে চলা বৈরিতার ফল। কিন্তু ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের আগে পর্যন্ত ইরান ও ইসরায়েল ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল। তাদের মধ্যে ব্যাপক অর্থনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক ছিল।
বিপ্লবের মাধ্যমে ইরানে ক্ষমতায় আসে একটি কট্টরপন্থি শিয়া মুসলিম সরকার, তীব্রভাবে পশ্চিমা দেশ ও ইসরায়েলবিরোধিতাই যাদের আদর্শ।
সদ্য নিয়োগ পাওয়া সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনির অধীনে থাকা ইরান, সে সময় ইসরায়েলের অস্তিত্ব স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং একে নিপীড়ন ও পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়।
ইরানের নতুন শাসনব্যবস্থা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে, ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানায় এবং হিজবুল্লাহ (লেবানন), হামাস (গাজা) ও হুথি (ইয়েমেন)-এর মতো ইসরায়েলবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর প্রধান পৃষ্ঠপোষকে পরিণত হয়।
ইসরায়েল তাদের দিক থেকে ইরানকে বিশ্বের প্রধান সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক বলে অভিযুক্ত করে আসছে এবং ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ও সামরিক তৎপরতা ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মিত্রদের সঙ্গে মিলে নিষেধাজ্ঞা ও কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে আসছে।
তারা বহু বছর ধরে ইরানের বিরুদ্ধে গোপন অভিযান চালিয়েছে, যা ছিল দুই দেশের মধ্যকার দীর্ঘ এক ‘ছায়াযুদ্ধ’ যা পরে প্রকাশ্যে আসে।
ওএফ