গ্যাস পাইপ বসাতে গিয়ে মিলল হাজার বছরের পুরোনো মমি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৫, ১৫:৩৪

পেরুর রাজধানী লিমায় গ্যাস পাইপ বসানোর সময় মাটির নিচে মিলেছে এক হাজার বছরের পুরোনো একটি মমি। প্রাচীন ওই নিদর্শনটি আবিষ্কার করেছেন গ্যাস কোম্পানির কর্মীরা। দেশটির ইতিহাসে এটি প্রাক-হিস্পানিক যুগের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সমাধি সন্ধান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
লিমা থেকে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গ্যাস পাইপ স্থাপনের কাজ করছিল ক্যালিদ্দা নামের একটি গ্যাস কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞানসমন্বয়ক ও প্রত্নতত্ত্ববিদ হেসুস বাহামোন্দে বলেন, লিমার উত্তরাঞ্চলীয় পুয়েন্তে পিয়েদ্রা জেলায় গ্যাস লাইনের জন্য মাটি খোঁড়ার সময় প্রায় ৫০ সেন্টিমিটার গভীরে একটি হুয়ারাঙ্গো গাছের গুঁড়ি পাওয়া যায়। অতীতে এমন গুঁড়ি সমাধির চিহ্ন হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
এরপর আরও গভীরে প্রায় ১.২ মিটার নিচে পাওয়া যায় একটি কিশোরের মমি। প্রত্নতত্ত্ববিদরা ধারণা করছেন, ওই কিশোরের বয়স ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। মমিটি বসা অবস্থায় ছিল। হাত-পা বাঁকানো এবং সেটি কাপড়ের মোড়কে আবৃত ছিল। কাপড়ের ভেতর ক্যালাবাশ ফলের খোসাও পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া সমাধির আশপাশ থেকে পাওয়া গেছে বেশ কয়েকটি মাটির পাত্র, যার মধ্যে রয়েছে প্লেট, বোতল ও জগ। এসব পাত্রে আঁকা রয়েছে জ্যামিতিক নকশা ও জেলেদের প্রতিকৃতি। প্রত্নতত্ত্ববিদদের মতে, এসব নিদর্শন ইনকা-পূর্ব চাংকাই সংস্কৃতির অংশ, যারা ১১ থেকে ১৫ শতাব্দীর মধ্যে লিমা এলাকায় বসবাস করত।
পেরুতে যেকোনো মাটির নিচে খননকাজ শুরুর আগে প্রত্নতাত্ত্বিক সম্ভাবনা যাচাই করা বাধ্যতামূলক। ২০০৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ক্যালিদ্দা কোম্পানি ২ হাজার ২০০–এর বেশি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন খুঁজে পেয়েছে।
প্রসঙ্গত, লিমা শহরজুড়ে এখনো ৫০০–র বেশি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান রয়েছে, যার অনেকগুলোতে রয়েছে ‘হুয়াকা’ নামের প্রাচীন কবরস্থান। এগুলো আদিবাসী কেচুয়া ভাষায় পরিচিত।
- এটিআর