জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে, ইরানের মূল পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলা ছিল ‘ব্যাপক সাফল্য’।

তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, তেহরান যদি একটি গ্রহণযোগ্য শান্তি চুক্তিতে সম্মত না হয়, তাহলে আরও হামলা চালানো হতে পারে।

শনিবার (২১ জুন) রাতে হোয়াইট হাউসের ক্রস হল থেকে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সক্ষমতা ধ্বংস করা। বিশ্বের শীর্ষ সন্ত্রাস-সহযোগী রাষ্ট্রের পারমাণবিক হুমকি বন্ধ করা। আজ রাতে আমি বিশ্বকে জানাতে পারি—এ হামলা ছিল একটি ব্যতিক্রমধর্মী সামরিক সাফল্য।

এর কয়েক ঘণ্টা আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘ট্রুথ সোশাল’-এ পোস্ট করে জানান, যুক্তরাষ্ট্র ফোরদো, নাটানজ ও ইসফাহান—এ তিনটি ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে।

ট্রাম্পের এ ঘোষণার সময় তার পাশে ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, শনিবারের হামলা হতে পারে ইরানের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য একাধিক অভিযানের সূচনা। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলা ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ এখন পরিষ্কার।

প্রেসিডেন্ট তার বক্তব্য দিয়েছেন হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুমের প্রবেশদ্বার থেকে—সেই একই জায়গা থেকে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ওসামা বিন লাদেন হত্যার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

ট্রাম্প বলেন, এ অবস্থা চলতে পারে না। হয় শান্তি আসবে, না হলে ইরানের জন্য এমন এক বিপর্যয় আসবে যা গত আট দিনের চেয়ে অনেক ভয়াবহ হবে। মনে রাখবেন, অনেক টার্গেট এখনো বাকি। 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, আজ রাতের লক্ষ্যবস্তু ছিল সবচেয়ে কঠিন ও সম্ভবত সবচেয়ে বিধ্বংসী। তবে যদি শান্তি দ্রুত না আসে, তাহলে আমরা পরবর্তী লক্ষ্যগুলোতে আঘাত করব নিখুঁত পরিকল্পনা, গতি ও দক্ষতা নিয়ে।

ইমা/এমবি