মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে পুরো বিশ্ব আতঙ্কে রয়েছে। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, পৃথিবী তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে রয়েছ। ঠিক এর মধ্যেই আগুনে ঘি ঢালার কাজটি করলো যুক্তরাষ্ট্র।

শনিবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় ইসরায়েলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এ হামলার পর থেকেই বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ব্যাপক হারে বেড়েছে।

এছাড়া মার্কিন এ হস্তক্ষেপে ইতোমধ্যে বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ হরমুজ প্রণালি বন্ধের অনুমোদন দিয়েছে ইরানের পার্লামেন্ট। ঠিক এর পরপর যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে তেলের ফিউচার দাম এক লাফে বেড়ে যায়।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মূল্য ৩ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি ব্যারেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৭৬ দশমিক ৪৭ ডলার। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড হিসেবে পরিচিত ব্রেন্ট তেলের দাম ৩ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৭৪ দশমিক ৫৯ ডলার।

তবে শেয়ারবাজারে সার্বিকভাবে বিপরীত চিত্র দেখা গেছে। ডাও ফিউচারস সূচক ২৫০ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ফিউচারস এবং নাসডাক ফিউচারস— উভয় সূচকই প্রায় শূন্য দশমিক ৬ থেকে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে নতুন মাত্রা ও মার্কিন পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় বাজারে উদ্বেগ বাড়ছে, যার প্রভাব সরাসরি জ্বালানি ও বিনিয়োগ খাতে পড়ছে।

রোববার (২২ জুন) বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ হরমুজ প্রণালি বন্ধের অনুমোদন দিয়েছে ইরানের পার্লামেন্ট। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ। 

উল্লেখ্য, হরমুজ প্রণালি বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক পথ। বিশ্বজুড়ে ব্যবহৃত মোট জ্বালানি তেলের প্রায় ২০ শতাংশ এই পথ দিয়েই পরিবাহিত হয়। এই রুট বন্ধ হলে বিশ্ববাজারে জ্বালানি সংকট আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ডিআর/এএ