কাতার ও ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ২৩:৫৩

ইরান যুক্তরাষ্ট্রের ওপর প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করেছে। সোমবার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) ইরাক ও কাতারে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিগুলোর দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।
এই হামলার নাম দেওয়া হয়েছে ‘বেশারাত আল-ফাতাহ’ যার অর্থ ‘বিজয়ের বার্তা’।
ইরাকেও নতুন করে হামলার খবর এসেছে। এই মুহূর্তে স্পষ্ট নয়, ইরাকে কোন ঘাঁটিটি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে কিংবা সেখানে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না।
তবে কাতারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সফলভাবে ভূপাতিত করা হয়েছে। এই ঘটনায় কোনো হতাহত হয়নি।
এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানায়, সশস্ত্র বাহিনীর সতর্কতা ও পূর্বপ্রস্তুতির কারণে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ঘাঁটির সকল সেনা সদস্য, যাদের মধ্যে কাতারি ও মিত্র বাহিনীর সদস্যরাও ছিলেন তাদের আগেই নিরাপদে সরে যান।
তীব্র প্রতিক্রিয়ায় কাতার বলেছে, এই হামলা দেশের সার্বভৌমত্ব, আকাশসীমা ও আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন।
কাতার সাময়িকভাবে নিজেদের আকাশসীমাও বন্ধ রেখেছে।
ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ অবশ্য দাবি করেছে, এই হামলা বসতি এলাকা থেকে দূরে চালানো হয়েছে। কাতারের জনগণের জন্য কোনো হুমকি তৈরি করেনি।
তেহরান থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক আলি হাশেম বলেন, এটি সম্ভবত উপসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিগুলোর বিরুদ্ধে ইরানের পাল্টা আক্রমণের সূচনা।
তিনি যোগ করেন, এই হামলা একবারেই সীমিত থাকবে, নাকি বড় পরিসরে ছড়িয়ে পড়বে—তা এখনও স্পষ্ট নয়।
অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, ২০২০ সালের মতো এবারও হামলার আগে যুক্তরাষ্ট্রকে সম্ভাব্যভাবে অবহিত করা হয়েছিল। তবে এসব কেবলই জল্পনা।
আল-উদেইদ হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি। ১৯৯৬ সালে স্থাপিত এই ঘাঁটিতে প্রায় ১০ হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে এবং এটি সেন্টকমের সদরদপ্তর হিসেবে কাজ করে। ইরাক, সিরিয়া ও আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযানে ঘাঁটি এ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রেক্ষিতে কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের দূতাবাস নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে অবস্থান করার আহ্বান জানিয়েছে। কাতার সরকারও দেশবাসী ও বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
ওএফ