কাতারের মধ্যস্থতায় ইরান যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতিতে রাজি হচ্ছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। মঙ্গলবার (২৪ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তারা। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কাতারের মধ্যস্থতায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হচ্ছেন তারা।

এর আগে, সোমবার (২৩ জুন) কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরান। এই হামলার পর কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল থানি ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতিতে তাদের রাজি করাতে সমর্থ হন বলে দাবি রয়টার্সের।

এদিকে, ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, ইসরায়েলি প্রবাসী মন্ত্রী আমিচাই চিকলি যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন। এক্সে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুকে সাহসী সিদ্ধান্তের জন্য ধন্যবাদ জানাই। যা ইতিহাসের পাতায় বিশ্বাস, সাহস এবং নৈতিক স্পষ্টতার অধ্যায় হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

অন্যদিকে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাঘচি বলেছেন, দখলদার ইসরায়েল যদি তাদের ‘অবৈধ হামলা বন্ধ করে’; তাহলে ‘ইরানেরও হামলা চালিয়ে নেওয়ার আর কোনো ইচ্ছা নেই’। মঙ্গলবার নিজের এক্স অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।

আরাঘচি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি বা সামরিক অভিযান বন্ধ করার বিষয়ে কোনো ‘চুক্তি’ নেই। তবে, যদি ইসরায়েলি সরকার তেহরানের সময় ভোর ৪টার মধ্যে ইরানি জনগণের বিরুদ্ধে তার অবৈধ আগ্রাসন বন্ধ করে, তবে এর পর প্রতিক্রিয়া অব্যাহত রাখার কোনো ইচ্ছা আমাদেরও নেই।’

তিনি আরও বলেন, আমাদের সামরিক অভিযান বন্ধের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পরে নেওয়া হবে।’

সূত্র : রয়টার্স ও বিবিসি

• এটিআর