লাইভ
ইরানের বাবলসারে বিস্ফোরণের শব্দ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ১৬:০১
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ২০:৩৫
-685ab1c8a8a61.jpg)
ইরানে ইসরায়েলের হামলা। ফাইল ছবি : সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হঠাৎ ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক’ যুদ্ধবিরতির কথা জানান। তবে সেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কিছু সময় পরই তা অনিশ্চয়তায় পড়ে যায়। বাংলাদেশের খবর ডিজিটালে দেখে নিন সর্বশেষ আপডেট।
২৪ জুন ২০২৫, ১৭:২২ পিএম
বোমা না ফেলে পাইলটদের ফিরিয়ে আনো, নেতানিয়াহুকে ট্রাম্প
ইরানের উত্তরাঞ্চলীয় শহর বাবলসারের কাছে বিস্ফোরণের তীব্র শব্দ শোনা গেছে। দেশটির আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ইসনার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল–জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় বাসিন্দারা বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন বলে জানিয়েছেন। ঘটনার পরপরই ওই এলাকায় ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে ওঠে।
বিস্ফোরণের প্রকৃতি বা ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
২৪ জুন ২০২৫, ১৭:১১ পিএম
কাতারের আমিরকে ইরানি প্রেসিডেন্টের ফোন
ইরানের হামলার প্রেক্ষাপটে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিকে ফোন করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান। কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ফোনালাপে কাতারি আমির আল উদেইদ সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
কাতারের আমির ইরানের প্রেসিডেন্টকে বলেন, কাতার সবসময়ই সুসম্পর্ক ও সদ্ভাবনার নীতিতে বিশ্বাস করে। কিন্তু এই ধরনের শত্রুতামূলক আচরণ ইরানের কাছ থেকে প্রত্যাশিত ছিল না।
কাতারের আমির এ ঘটনার কূটনৈতিক ও আইনি প্রতিক্রিয়া কথা বললেও তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই বিষয়টি যত দ্রুত সম্ভব শেষ করা উচিত। একে পেছনে ফেলে আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়া উচিত।
শেখ মোহাম্মদ জানান, আমির ইসরায়েলের আগ্রাসন প্রসঙ্গে বলেন, এই অঞ্চলে চলমান সব উত্তেজনার মূল কারণ হচ্ছে গাজায় ইসরায়েলের বেপরোয়া আগ্রাসন। যা গোটা অঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে পড়া থেকে রোধে কাজ করছে কাতার।
তিনি আরও বলেন, এখনই সময় গোটা বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইসরায়েলের এই দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ড বন্ধ করার জন্য কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার।
উল্লেখ্য, কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের আল উদেইদ সামরিক ঘাঁটি সোমবার ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার লক্ষ্য হয়। যদিও অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা সম্ভব হয়। এ হামলার পর কাতার ও ইরানের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা বেড়ে গেছে।
২৪ জুন ২০২৫, ১৭:০২ পিএম
ইরান থেকে বেশ কিছু কর্মী সরিয়ে নিচ্ছে জাতিসংঘ
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার চলমান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা শঙ্কা বাড়ায় ইরান থেকে কিছু আন্তর্জাতিক কর্মী ও তাদের স্বজনদের সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতিসংঘ।
মঙ্গলবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘ তথ্য দপ্তরের পরিচালক আলেসান্দ্রা ভেলুচ্চি সাংবাদিকদের জানান, জাতিসংঘ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অস্থায়ীভাবে এমন কিছু আন্তর্জাতিক কর্মী, যাদের উপস্থিতি জরুরি নয়, এবং তাদের স্বজনদের ইরান থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে।
তবে কতজন কর্মী ও স্বজনকে সরানো হচ্ছে, সে বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
এ সিদ্ধান্ত এমন এক সময় এলো, যখন ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার সামরিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ইসরায়েল সম্প্রতি তেহরানে এবং অন্যান্য অঞ্চলে একাধিক হামলা চালিয়েছে। পরস্পরের প্রতি পাল্টা হুমকি ও সামরিক অভিযানের কারণে গোটা অঞ্চল জুড়েই আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর জন্য ঝুঁকি বেড়ে গেছে।
জাতিসংঘ বলছে, এই পদক্ষেপ অস্থায়ী এবং শুধুমাত্র নিরাপত্তা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। তবে পরিস্থিতির অবনতি হলে পরবর্তীতে আরও কর্মী সরানোর সিদ্ধান্তও আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২৪ জুন ২০২৫, ১৬:৪৮ পিএম
ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ বিরতির পর ইরাকের আকাশসীমা পুনরায় উন্মুক্ত
ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণার পর ইরাক ১২ দিন পর তাদের আকাশসীমা পুনরায় উন্মুক্ত করেছে।
মঙ্গলবার ইরাকের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি বাগদাদ থেকে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, নিরাপত্তা পরিস্থিতির সার্বিক মূল্যায়ন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের পর, আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের জন্য ইরাকের আকাশসীমা পুনরায় উন্মুক্ত করা হয়েছে।
২৪ জুন ২০২৫, ১৬:২৮ পিএম
ইসরায়েলের হামলার আগেই পরমাণু স্থাপনা থেকে সব সরানো হয়েছিল : ইরান
ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ ইসলামি বলেছেন, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের একযোগে চালানো সাম্প্রতিক হামলায় ইরানের একাধিক পরমাণু স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করা হলেও, পারমাণু কর্মসূচি বা শিল্পে কোনো ধরনের বিঘ্ন ঘটেনি।
মঙ্গলবার তিনি বলেন, আমরা পূর্ব থেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম যাতে হামলার পরও আমাদের পারমাণবিক কর্মসূচি স্বাভাবিকভাবে চলতে পারে।
গত কয়েক দিনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ইরানের ফোর্দো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহানের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু স্থাপনায় একাধিক আঘাত হেনেছে।
তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জোরালো গুঞ্জন রয়েছে, হামলার আগেই ইরান ওই কেন্দ্রগুলো থেকে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি ও সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম গোপনে সরিয়ে নেয়।
এর আগে সংঘাতের শুরুতে ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থার মুখপাত্র বেহরুজ কামালভান্দি জানিয়েছিলেন, ইসরায়েলি হামলার আশঙ্কায় ফোর্দো ও ইসফাহান কেন্দ্র থেকে আমরা অগ্রিম প্রস্তুতি হিসেবে কিছু যন্ত্রপাতি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছি।
বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ ইরানের কৌশলগত দূরদর্শিতার ইঙ্গিত দেয় এবং ইসরায়েলি অভিযানের প্রকৃত প্রভাব সীমিত থাকতে পারে। তবে হামলায় স্থাপনাগুলোর অবকাঠামো কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে—তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
২৪ জুন ২০২৫, ১৬:২৪ পিএম
ইসরায়েলি হামলায় ইরানের আরেক শীর্ষ পারমাণুবিজ্ঞানী নিহত
ইসরায়েলের অভিযানে তেহরানে ইরানের আরেক শীর্ষ পারমাণুবিজ্ঞানী মোহাম্মদ রেজা সেদ্দিঘি সাবের। মঙ্গলবার ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রেস টিভি জানায়, রাজধানী তেহরানের উত্তরে চালানো সর্বশেষ বিমান হামলায় সাবেরকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি ইরানের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন।
গত ১২ দিনে ইসরায়েল একাধিক অভিযান চালিয়ে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি, উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় অনেক পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন, এমনটাই দাবি করছে ইসরায়েল।
যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সংস্থা কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার পর্যন্ত অন্তত ১০ ইরানি পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন।
তাদের মধ্যে রয়েছেন ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থার সাবেক প্রধান ফেরেইদুন আব্বাসি এবং সংস্থার সাবেক উপপ্রধান আমির হোসেইন ফেকিহি।
সাবেরকে চলতি বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ও ট্রেজারি বিভাগের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিরক্ষা, উদ্ভাবন ও গবেষণা সংস্থা এসপিএনডিতে বিস্ফোরক সংক্রান্ত প্রকল্পের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
পররাষ্ট্র দপ্তরের মতে, ওই প্রকল্পগুলোর মধ্যে ছিল পারমাণবিক বিস্ফোরক ডিভাইস তৈরি সংক্রান্ত গবেষণা ও পরীক্ষা।
মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইডিএফ তেহরানের কেন্দ্রস্থলে শাসকগোষ্ঠীর একাধিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। শত শত বাসিজ সদস্যকে হত্যা করেছে ও আরেক শীর্ষ পারমাণবিক বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে।
তবে বিবৃতিতে বিজ্ঞানীর নাম প্রকাশ করা হয়নি।
২৪ জুন ২০২৫, ১৬:৪১ পিএম
ট্রাম্পের ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধবিরতি নিয়ে অনিশ্চয়তা

সোমবার ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, আমি ইসরায়েল ও ইরান উভয় দেশকে অভিনন্দন জানাতে চাই তাদের ধৈর্য, সাহস ও বুদ্ধিমত্তার জন্য। তারা শেষ করল এমন একটি যুদ্ধ, যার নাম হওয়া উচিত ‘১২ দিনের যুদ্ধ’।
ট্রাম্প জানান, ইরান ও ইসরায়েল উভয়ই যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে সম্মত হয়েছে এবং এটি মঙ্গলবার ভোর থেকে কার্যকর হবে।
এনবিসি নিউজকে তিনি বলেন, আমি মনে করি যুদ্ধবিরতি অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে। এটা সব সময়ের জন্য।
তবে মঙ্গলবার সকালেই ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেন, ইরান যুদ্ধবিরতি মারাত্মকভাবে লঙ্ঘন করেছে। ইসরায়েল শক্তভাবে এর জবাব দেবে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) এক কর্মকর্তা সিএনএনকে জানান, ইরান থেকে ছোঁড়া দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েল আকাশে প্রতিহত করেছে।
এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ও এক শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা দাবি করেছেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার পর থেকে শত্রুর দিকে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়নি।
ওই কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেন, ইসরায়েল যদি আবার কোনো ভুল করে, তবে সব দখলকৃত ভূখণ্ডেই আঘাত হানা হবে। ঠিক যেভাবে যুদ্ধ থেমে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগেও হয়েছিল।
ট্রাম্পের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে অনেক দেশ। কাতার এ চুক্তিতে ইরানকে রাজি করাতে সহায়তা করেছে বলে জানা গেছে।
এদিকে চীন জানিয়েছে, তারা আশা করছে যুদ্ধবিরতি দ্রুত কার্যকর হবে। তবে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিরতিগুলো সাধারণত খুবই ভঙ্গুর হয়ে থাকে, এবং এই চুক্তি ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় অঞ্চলজুড়ে উদ্বেগ বিরাজ করছে।
এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণার মাত্র একদিন আগেও পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। তখন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়, যার জবাবে ইরান প্রতিশোধ নিতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল।
তবে ইরানের প্রতিক্রিয়া ছিল নিয়ন্ত্রিত। কাতার জানায়, তারা ইরান থেকে ছোড়া সব ক্ষেপণাস্ত্রই প্রতিহত করেছে, শুধু একটি ছাড়া যেটি কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই পড়ে যায়।
ট্রাম্প পরে আগাম জানিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য ইরানকে ধন্যবাদ জানান, যা অনেকের মতে একটি মুখরক্ষার কৌশল মাত্র।
ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর ইসরায়েলের বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ বলেন, এখনই সময় গাজার যুদ্ধ বন্ধ করার, জিম্মিদের ঘরে ফেরানোর ও পুনর্গঠনের।
হামাসের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধের কারণে গাজায় ইতোমধ্যে ৫৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। বহু ইসরায়েলি এখনো জিম্মি অবস্থায় রয়েছে।
জিম্মি ও নিখোঁজদের পরিবারের সংগঠন এক বিবৃতিতে জানায়, যারা ইরানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি করতে পারে, তারাই গাজার যুদ্ধও শেষ করতে পারে।