Logo

আন্তর্জাতিক

দাড়ি না কাটায় কোর্সে ভর্তি করা হয়নি কাশ্মীরি মুসলিম চিকিৎসককে

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৫, ১৪:২৮

দাড়ি না কাটায় কোর্সে ভর্তি করা হয়নি কাশ্মীরি মুসলিম চিকিৎসককে

প্রতীকী ছবি

ভারতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ‘দাড়ি রাখার’ কারণে ডিএনবি (নেফ্রোলজি) কোর্সের একটি আসন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন কাশ্মীর উপত্যকার এক মুসলিম চিকিৎসক। জম্মু ও কাশ্মীর স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অভিযোগ করেছে, ধর্মীয় রীতি মেনে দাড়ি রাখা সেই চিকিৎসকের জন্য বৈষম্যের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) অ্যাসোসিয়েশনটি বিষয়টি প্রকাশ্যে আনে। পরে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম.কে. স্টালিনের হস্তক্ষেপ কামনা করে।

অভিযোগে বলা হয়, ডা. যুবায়ের আহমদ তামিলনাড়ুর কোভাই মেডিকেল সেন্টার অ্যান্ড হসপিটাল (KMCH)-এ ডিএনবি কোর্সে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হন। কিন্তু ভর্তি কার্যক্রম চলাকালে তাকে একটি ‘নীতিমালায়’ স্বাক্ষর করতে বলা হয়, যেখানে দাড়ি রাখা নিষিদ্ধ বলে উল্লেখ ছিল। এই শর্ত তার ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় তিনি এতে সই করতে অস্বীকৃতি জানান।

এ সময় চিকিৎসক যুবায়ের বলেন, তিনি সার্জিকাল মাস্ক দিয়ে দাড়ি ঢেকে রাখবেন। এ ছাড়া হাসপাতালের অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি ও পোশাকবিধি মানতে সম্মত তিনি। তবু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে জানায়, দাড়ি ছাঁটতে না চাইলে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে না। ফলে বাধ্য হয়ে তিনি কোর্স থেকে সরে দাঁড়ান।

অন্যদিকে হাসপাতালের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ডা. যুবায়েরের দাড়ি এতটাই লম্বা ছিল যে, সেটি সার্জিকাল মাস্ক দিয়েও ঢেকে রাখা সম্ভব হচ্ছিল না। হাসপাতাল সূত্র জানায়, নেফ্রোলজি কোর্সে প্রশিক্ষণ চলাকালীন চিকিৎসকদের অপারেশন থিয়েটারে দায়িত্ব পালন করতে হয়। সেক্ষেত্রে দীর্ঘ দাড়ি সংক্রমণ বা যন্ত্রপাতির সংস্পর্শে এসে সমস্যা তৈরি করতে পারে।

ডা. যুবায়ের ভর্তি না হওয়ায় NBEMS থেকে KMCH-কে তার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। জবাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, তাকে ভর্তি হতে নিষেধ করা হয়নি, বরং তিনি চাইলে দাড়ি কমিয়ে যোগ দিতে পারেন।

এ বিষয়ে KMCH-এর মেডিকেল ডিরেক্টর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সূত্র : দ্য হিন্দু

  • এটিআর

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

কাশ্মীর ভারত

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর