Logo

আন্তর্জাতিক

দাবানলে পুড়ছে তুরস্কের ইজমির

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৫, ১৪:৩৬

দাবানলে পুড়ছে তুরস্কের ইজমির

তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলীয় ইজমির প্রদেশে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে /ছবি : সংগৃহীত

তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলীয় ইজমির প্রদেশে দ্বিতীয় দিনের মতো দাবানলের সঙ্গে লড়াই করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় চারটি গ্রাম ও দুটি পাড়া খালি করে দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সময় সোমবার দেশটির বনমন্ত্রী ইব্রাহিম ইয়ুমাকলি জানিয়েছেন, ইজমিরের কুইউজাক ও দোয়ানবেই এলাকায় রাতভর ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার গতির বাতাসে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

ইজমিরে সাংবাদিকদের ইয়ুমাকলি বলেন, আগুন নেভাতে হেলিকপ্টার, অগ্নিনির্বাপক বিমানসহ এক হাজারেরও বেশি লোক এবং বিভিন্ন যানবাহন কাজে লাগানো হয়েছে।

তুর্কি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দাবানলের কারণে ইজমিরের আদনান মেন্দেরেস বিমানবন্দরের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।

মিডিয়ায় প্রকাশিত ফুটেজে দেখা যায়, ট্যাঙ্কারযুক্ত ট্র্যাক্টর ও পানি ছিটানো হেলিকপ্টার ব্যবহার করে দমকলকর্মীরা কাজ করছেন, আর পাহাড়ি এলাকায় ধোঁয়া উড়ছে, যেখানে অনেক গাছপালা ইতোমধ্যেই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

তীব্র বাতাসের কারণে কিছু সময়ের জন্য হেলিকপ্টারগুলো মাটিতে নেমে পড়তে বাধ্য হয়েছিল, ফলে মাত্র দুটি পানি নিক্ষেপকারী বিমান ও একটি বড় স্থলবাহিনী আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়।

ইজমিরের গভর্নর সুলেইমান এলবান জানিয়েছেন, রোববার প্রথম দাবানলটি ইজমিরের সেফেরিহিসার ও মেন্দেরেস জেলার মধ্যবর্তী অঞ্চলে শুরু হয়। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১১৭ কিমি (৭৫ মাইল) পর্যন্ত উঠায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

গভর্নর আরও বলেন, সেফেরিহিসারের পাঁচটি এলাকা খালি করা হয়েছে, কারণ আগুন বসতবাড়ির কাছাকাছি চলে এসেছে।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী এএফপিকে ফোনে জানান, উর্কমেজ গ্রামের বাসিন্দারা নিজেরাই গাছ কেটে আগুনের বাধা (ফায়ারব্রেক) তৈরি করছেন, যাতে আগুন তাদের ঘরবাড়ি পর্যন্ত না পৌঁছায়।

ইজমির শহর কেন্দ্র থেকে মাত্র ১৩ কিমি (৮ মাইল) দূরের গাজিয়েমির এলাকায় একটি ল্যান্ডফিলে আলাদা আগুন লেগেছে, যা আশপাশের বনাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে ও ওতোকেন্ট শিল্পাঞ্চলকেও হুমকির মুখে ফেলেছে—যেখানে একাধিক গাড়ি বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে।

গত কয়েক বছরে তুরস্কের উপকূলীয় অঞ্চলে দাবানল ব্যাপক ক্ষতি করেছে। গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা ও শুষ্কতা বেড়ে যাওয়ায় দাবানলের আশঙ্কা আরও বাড়ছে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন। গত বছরও ইজমিরের এই একই এলাকা বড় একটি দাবানলের কবলে পড়েছিল।

দক্ষিণ ইউরোপ জুড়েও দাবানল মোকাবিলায় দমকলকর্মীরা কাজ করছেন, যখন তীব্র গরম থেকে বাঁচতে মানুষ আশ্রয় খুঁজছেন। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আসন্ন দিনগুলোতে এই তাপপ্রবাহ আরও বাড়বে।

ফ্রান্সের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওডের কর্বিয়েরে এলাকায় দাবানল শুরু হয়েছে, যেখানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৪ ফারেনহাইট) ছাড়িয়ে গেছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সেখানে একটি ক্যাম্পসাইট ও অ্যাবি খালি করে ফেলা হয়েছে।

গত সপ্তাহে গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের দক্ষিণ উপকূলে একটি বনাঞ্চলে আগুন ধরে যায়, যাতে কিছু এলাকা খালি করতে হয়।

পর্তুগালের দক্ষিণাংশের কয়েকটি এলাকায়, লিসবনসহ, সোমবার রাত পর্যন্ত লাল সতর্কতা জারি রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সমুদ্র ও বায়ুমণ্ডল ইনস্টিটিউট।

ওএফ

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

তুরস্ক অগ্নিকাণ্ড

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর