গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৮ ফিলিস্তিনি নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৯:৫৩
-6875d0ccdc71b.jpg)
গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গত একদিনে আরও অন্তত ৭৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অনেকে ছিলেন ত্রাণ নিতে যাওয়া সাধারণ মানুষ। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ফিলিস্তিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে একটি ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের পাশে ইসরায়েলি হামলায় পাঁচজন প্রাণ হারিয়েছেন। এ নিয়ে গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) পরিচালিত ত্রাণকেন্দ্রের আশপাশে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩৮ জনে।
এ ছাড়া দক্ষিণ গাজার খান ইউনুস শহরে বাস্তুচ্যুতদের একটি শিবিরে বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন ৯ জন। আহত হয়েছেন অনেকেই। একই দিন কেন্দ্রীয় গাজার বুরেইজ শরণার্থী শিবিরের একটি বাণিজ্যিক ভবনে হামলায় মারা যান আরও ৪ জন।
এদিকে গাজা শহর ও উত্তরের বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনী নতুন করে হামলা জোরদার করেছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যমের দাবি, গাজা শহরে একটি ট্যাংকে রকেট হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় তিন সেনা নিহত হয়েছেন।
পাল্টা অভিযানে ইসরায়েল ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। শহরের টুফাহ ও শুজাইয়া এলাকায় বেশ কিছু আবাসিক ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। শুধুমাত্র গাজা শহরে একদিনে প্রাণ হারান ২৪ জন ফিলিস্তিনি। আহত হন আরও অনেকে।
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা গাজায় বারবার ত্রাণ সরবরাহের অনুমতি চাইলেও ইসরায়েল চলতি বছরের মার্চ থেকে প্রায় সব ধরনের জ্বালানি প্রবেশ বন্ধ রেখেছে। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে বহু পানি পরিশোধনাগার, পাম্প স্টেশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র। সংকটে পড়েছে হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স সেবাও।
সম্প্রতি ইসরায়েল ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে ত্রাণ প্রবাহ বৃদ্ধির বিষয়ে একটি চুক্তি হলেও মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাস্তবে কোনো অগ্রগতি হয়নি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও একই ধরনের হতাশা প্রকাশ করা হয়েছে।
এদিকে কাতারে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে দ্বিতীয় সপ্তাহে পরোক্ষ আলোচনা চললেও তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। সূত্র জানায়, সেনা মোতায়েন ও সম্ভাব্য সমঝোতা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে হামাস নেতারা দাবি করছেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ইচ্ছাকৃতভাবে আলোচনা ভেঙে দিচ্ছেন।
- এটিআর