Logo

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানে মৌসুমি বৃষ্টিতে ১১১ জনের মৃত্যু, ঝুঁকিতে অবকাঠামো

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৫, ১১:৪৭

পাকিস্তানে মৌসুমি বৃষ্টিতে ১১১ জনের মৃত্যু, ঝুঁকিতে অবকাঠামো

পাকিস্তানে চলমান বর্ষায় এখন পর্যন্ত ১১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৫৩ জনই শিশু। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ডন। 

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, গত ২৬ জুন থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত বর্ষার প্রভাবে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু ঘটেছে আকস্মিক বন্যায়।

গত জুনের শেষ দিকে এক ঘটনায় অন্তত ১৩ জন পর্যটক পাহাড়ি নদীর পাড়ে আশ্রয় নিতে গিয়ে স্রোতের তোড়ে ভেসে মারা যান।

এনডিএমএ জানিয়েছে, সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা পাঞ্জাব প্রদেশে।

এদিকে দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে আরও ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। এতে নগরাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, ভূমিধস এবং ঝোড়ো হাওয়ার কারণে অবকাঠামোর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।

প্রতিবছর জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ায় মৌসুমি বৃষ্টি হয়, যা অঞ্চলটির ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বৃষ্টিপাতের উৎস। বর্ষা কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং কৃষকদের জীবিকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এর আচরণে পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ার উষ্ণায়ন দ্রুতগতিতে বাড়ছে, ফলে মৌসুমী বৃষ্টিপাতের ধরনেও পরিবর্তন আসছে। তবে একটি উষ্ণ হয়ে ওঠা পৃথিবী এই জটিল মৌসুমি ব্যবস্থাকে কীভাবে প্রভাবিত করছে, তা পুরোপুরি বোঝা এখনো বাকি।

পাকিস্তান জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি। এর ২৪ কোটির বেশি মানুষ ক্রমাগত নানা ধরনের চরম আবহাওয়ার মুখোমুখি হচ্ছেন।

২০২২ সালে নজিরবিহীন বন্যায় দেশটির এক-তৃতীয়াংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল। প্রাণহানি হয়েছিল অন্তত ১ হাজার ৭০০ জনের। এখনও বহু এলাকা পুরোপুরি পুনর্বাসিত হয়নি। চলতি বছরের মে মাসেও ভয়াবহ ঝড় এবং শিলাবৃষ্টিতে কমপক্ষে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

  • এটিআর

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

পাকিস্তান

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর