-687afc2e3882b.jpg)
দীর্ঘ কয়েক দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও বিমান হামলার পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দুই বৈরী প্রতিবেশী—সিরিয়া ও ইসরায়েল। তুরস্কে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৮ জুলাই) এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন (খবর আল-জাজিরার)।
তিনি জানান, এই যুদ্ধবিরতিকে সমর্থন করেছে ওয়াশিংটন এবং স্বাগত জানিয়েছে তুরস্ক, জর্ডানসহ সিরিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলো।
টম ব্যারাক বলেন, আমরা দ্রুজ, বেদুইন, সুন্নি—সব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যেন তারা অস্ত্র পরিহার করে। একত্রে তারা যেন একটি নতুন, ঐক্যবদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ সিরীয় পরিচয় গড়ে তোলে।
তবে এ বিষয়ে সিরিয়া কিংবা ইসরায়েলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য এখনো আসেনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানান, দক্ষিণ-পশ্চিম সিরিয়ার চলমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে ইসরায়েল সাময়িকভাবে সুয়েইদা জেলায় সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীর সীমিত প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ৪৮ ঘণ্টার জন্য কার্যকর থাকবে।
এর আগে বুধবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর ব্যাপক বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। একইসঙ্গে তারা সিরীয় সরকারি বাহিনীর অবস্থানকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় সুয়েইদা অঞ্চলেও।
ইসরায়েলের দাবি, তারা সুয়েইদায় বসবাসকারী দ্রুজ সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে এসব হামলা চালিয়েছে। অঞ্চলটিতে সম্প্রতি দ্রুজ, বেদুইন ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে জাতিগত উত্তেজনা এবং সংঘর্ষে বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।
বিগত কয়েক সপ্তাহে সুয়েইদা অঞ্চলটি সিরিয়ার এক নতুন উত্তপ্ত ভূখণ্ডে রূপ নিয়েছে। সেখানে জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক বিভাজন আরও ঘনীভূত হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটেই যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সাময়িক এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসল।
- এটিআর