ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ গেল আরও ১১৫ ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫৫

ইসরায়েলি বাহিনীর বেপরোয়া হামলায় একদিনেই প্রাণ হারিয়েছেন আরও অন্তত ১১৫ জন ফিলিস্তিনি। ছবি : সংগৃহীত
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বেপরোয়া হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও অন্তত ১১৫ জন ফিলিস্তিনি। নিহতদের অধিকাংশই ত্রাণের আশায় জড়ো হওয়া ক্ষুধার্ত মানুষ।
সোমবার (২১ জুলাই) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা’র এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, উত্তর গাজার জিকিম ক্রসিং এলাকায় ত্রাণের জন্য অপেক্ষমাণ জনতার ওপর ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালালে অন্তত ৬৭ জন নিহত হন। একইদিনে দক্ষিণ গাজার এক ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছাকাছি হামলায় নিহত হন আরও ৬ জন। এর আগের দিন একইভাবে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৩৬ জন।
চলতি বছরের মে মাস থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রাণ গেছে ৯০০ জনেরও বেশি মানুষের।
আল জাজিরা তাদের প্রতিবেদনে বলছে, ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান আহমেদ হাসুনা। তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে একজন যুবক ছিল। হঠাৎ গ্যাস নিক্ষেপ শুরু হলো। গ্যাসেই আমাদের শেষ করে ফেলছিল। আমরা কোনোমতে পালিয়ে এসে একটু নিশ্বাস নিতে পারলাম।’
অন্য এক বাসিন্দা রিজেক বেতার জানান, আহত এক বৃদ্ধকে সাইকেলে করে সরিয়ে নিতে হয় তাকে। ‘এখানে অ্যাম্বুলেন্স নেই। খাবার নেই। জীবন নেই। বেঁচে থাকার পথ নেই। আমরা কোনোমতে টিকে আছি। আল্লাহই আমাদের সহায় হো ‘, বলেন তিনি।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এক বিবৃতিতে জানায়, গাজায় প্রবেশ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাদের ২৫ ট্রাকের একটি ত্রাণবহরে গুলি চালানো হয়। তারা বলেন, ‘ত্রাণের জন্য অপেক্ষারত বেসামরিক মানুষের ওপর হামলা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।’
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস বলেছে, ক্ষুধার্ত নারী, শিশু ও পুরুষদের ওপর ইসরায়েলের এ ধরনের ক্রমাগত হামলা নিছক মানবিক বিপর্যয় নয়, বরং এটি একটি গণহত্যা, যা পশ্চিমা বিশ্ব নীরব থেকে সম্ভব করছে।
সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক নিহাদ আওয়াদ বলেন, ‘পশ্চিমা সরকারগুলোর অজানা নয়, তারা প্রত্যক্ষভাবে দেখছে কীভাবে মানুষকে না খাইয়ে মারা হচ্ছে। ঘরছাড়া করা হচ্ছে। হত্যা করা হচ্ছে। তবুও তারা কিছু করছে না।’
এমবি