
পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টিপাতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ২৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আারও অন্তত ৬০২ জন।
বুধবার (২৩ জুলাই) এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (এনডিএমএ)।
প্রতিদিনের আপডেটে সংস্থাটি জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় কেবল খাইবার পাখতুনখোয়ায় মারা গেছেন আরও তিনজন এবং আহত হয়েছেন দুজন। একই সময়ে ইসলামাবাদে আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
২৬ জুন থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সময়কালে বিভিন্ন প্রদেশে প্রাণহানির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পাঞ্জাবে মারা গেছেন ১৩৫ জন এবং আহত হয়েছেন ৪৭০ জন। খাইবার পাখতুনখোয়ায় নিহত ৫৯, আহত ৭৩। সিন্ধে নিহত ২৪, আহতা ৪০। বালুচিস্তানে নিহত ১৬, আহত ৪। গিলগিট–বালতিস্তানে নিহত ৩, আহত ৪। আজাদ কাশ্মীরে নিহত ২, আহত ৮ এবং ইসলামাবাদে নিহত ৬, আহত ৩।
এনডিএমএর তথ্য অনুযায়ী, চলমান বর্ষণে এ পর্যন্ত ৮৫৪টি বসতবাড়ি ধসে পড়েছে এবং ২০৮টি গবাদিপশু মারা গেছে। অধিকাংশ মৃত্যু হয়েছে ঘর ধসে, পানিতে ডুবে, ভূমিধস এবং আকস্মিক বন্যার কারণে।
অন্যদিকে, জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত সিনেটের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দেশের এই বৃষ্টিপাত ও দুর্যোগ পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। কমিটির চেয়ারপারসন সেনেটর শেরি রেহমান বলেন, ‘এই মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনাগুলো প্রকৃতপক্ষে জলবায়ু সংকটের ফল, দুর্ভাগ্যজনকভাবে যার শিকার পাকিস্তান সবচেয়ে বেশি।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, রাওয়ালপিন্ডির এক বেসরকারি হাউজিং সোসাইটিতে নালা দখল করে নির্মাণের কারণেই একটি বাপ–বেটির মৃত্যু হয়েছে। ‘এইসব নির্মাণ কিভাবে অনুমোদন পেল, তা খতিয়ে দেখা দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘পিন্ডির ওই সোসাইটিতে সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই, পরবর্তী বৈঠকে ওই কর্তৃপক্ষকে ডাকা হবে।’
এ সময় সিনেটর ফালাক নাজ চিত্রালি অভিযোগ করেন, চিত্রাল অঞ্চলে এনডিএমএ পর্যাপ্ত উদ্যোগ নেয়নি। তার মতে, এনডিএমএকে চিত্রাল নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা নিতে হবে।
সূত্র : জিও নিউজ উর্দু