
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। টানা দুই দিন ধরে চলা এ রক্তক্ষয়ী সংঘাতে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। নিজ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালিয়ে গেছেন ১০ হাজারের বেশি মানুষ।
এ পরিস্থিতিতে অবিলম্বে সংঘর্ষ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে কম্বোডিয়া।
জাতিসংঘে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ছিয়া কেও বলেন, আমরা নিঃশর্তভাবে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছি। শান্তিপূর্ণ সমাধানই একমাত্র পথ।
তবে এখনো থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে এ প্রস্তাব নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য আসেনি।
বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এ সংঘর্ষ ক্রমেই ছড়িয়ে পড়েছে সীমান্তের অন্তত ১২টি স্থানে। থাইল্যান্ড ইতোমধ্যে সীমান্তবর্তী আটটি জেলায় সামরিক আইন জারি করেছে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই সতর্ক করে বলেন, এ সংঘাত পুরোপুরি যুদ্ধে রূপ নিতে পারে। এখন ভারী অস্ত্র ব্যবহৃত হচ্ছে।
থাইল্যান্ড অভিযোগ করেছে, কম্বোডিয়া বেসামরিক এলাকায় গোলাবর্ষণ করছে। পাল্টা অভিযোগে কম্বোডিয়া বলেছে, থাই বাহিনী ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করছে। যা বেসামরিকদের জন্য মারাত্মক হুমকি এবং বহু দেশে নিষিদ্ধ।
এমবি