গাজায় নৃশংস গণহত্যা
ইসরায়েলি সরকারের বিরুদ্ধে নিজ দেশের মানুষের বিরল প্রতিবাদ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:৪২

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনকে সরাসরি ‘জাতিগত নিধন’ আখ্যা দিয়ে নিজ দেশের সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে ইসরায়েলেরই মানবাধিকার সংগঠন ও বিশ্ববিদ্যালয়প্রধানেরা। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এবারই প্রথম ইসরায়েলের অভ্যন্তরে এমন প্রতিবাদী অবস্থান দেখা গেল।
‘বেতসেলেম’ ও ‘ফিজিশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস-ইসরায়েল’ নামে দুটি শীর্ষস্থানীয় মানবাধিকার গোষ্ঠী এক বিবৃতিতে জানায়, গাজায় শিশুদের না খেয়ে মরতে দেওয়া আর পুরো ফিলিস্তিনি সমাজকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পেছনে ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা রয়েছে। এটি কোনো আত্মরক্ষা নয়, বরং পরিকল্পিত গণহত্যা।
বেতসেলেমের নির্বাহী পরিচালক ইউলি নোভাক বলেন, এই সমাজের অংশ হিসেবে যখন বুঝতে পারি আমরা একটা গণহত্যার অংশ, তখন সেটা ভেতর থেকে মেরে ফেলার মতো বেদনা দেয়। গাজায় যা চলছে, তা ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে স্পষ্ট জাতিগত নিধন।
এদিকে ‘ফিজিশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস’ জানিয়েছে, গাজার পরিস্থিতি ‘ইচ্ছাকৃত ও সংগঠিত ধ্বংসযজ্ঞ’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
অন্যদিকে ইসরায়েলের পাঁচটি বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে এক চিঠিতে কড়া ভাষায় লিখেছেন, শিশুদের না খেয়ে মারার ভয়াবহতা আর সহ্য করা যাচ্ছে না। প্রতিদিন গাজায় শিশুরা ক্ষুধা, রোগ ও অচিকিৎসায় মারা যাচ্ছে। এটি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।
তারা সরকারের মন্ত্রীদের যুদ্ধোন্মাদ ও উসকানিমূলক বক্তব্যেরও তীব্র নিন্দা করেন। সেই সঙ্গে সতর্ক করে বলেন, গাজার খাদ্য বন্ধ, ধ্বংস ডাক কিংবা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কথা বলার মতো মন্তব্য আন্তর্জাতিক আদালতে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আমরা প্রতিদিন দেখছি, ফিলিস্তিনের শিশুরা কেবল না খেয়ে বা পানিহীন অবস্থায় মারা যাচ্ছে। এই দৃশ্য আমাদের বিবেকে চেপে বসেছে।
সূত্র : ইনকিলাব উর্দু