৪০ বছর পর জানলেন স্ত্রীর গর্ভে জন্ম নেওয়া ৫ সন্তানের পিতা নন তিনি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০২৫, ০৮:৫৯

ছবি : সংগৃহীত
বাহরাইনে ঘটেছে চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা। ৪০ বছর সংসার করে যাদের নিজের সন্তান বলে আদর-স্নেহে বড় করেছেন এক ব্যক্তি, ডিএনএ পরীক্ষায় জানতে পারলেন তারা আসলে তার সন্তান না। তাদের কারোর সঙ্গেই তার রক্তের সম্পর্ক নেই! ঘটনাটি ঘিরে এখন দেশজুড়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। আদালতও রায় দিয়েছেন, ওই ব্যক্তি পাঁচ সন্তানেরই জৈবিক পিতা নন।
স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে শুক্রবার (১ আগস্ট) এক্সপ্রেস ট্রিবিউন উর্দু জানিয়েছে, চার দশক আগে এক নারীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ওই ব্যক্তি। সুখেই চলছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। একে একে জন্ম নিয়েছে পাঁচটি সন্তানও। কিন্তু হঠাৎ এক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় জানা যায়, তিনি শারীরিকভাবে সন্তান জন্মদানে অক্ষম।
এরপর সন্দেহ থেকেই স্ত্রীর গর্ভে জন্ম নেওয়া সন্তানদের ডিএনএ পরীক্ষা করান। আর তাতেই ফাঁস হয় ৪০ বছরের নির্মম প্রতারণা।
ঘটনার পর তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। বাহরাইনের উচ্চ শরিয়াহ আদালত রায়ে জানিয়ে দেয়, ওই ব্যক্তি পাঁচ সন্তানের কোনো কিছুর সঙ্গেই জৈবিক বা আইনি সম্পর্ক রাখেন না।
রায়ে বলা হয়, বৈজ্ঞানিক প্রমাণের ভিত্তিতে শরিয়াহ আইনে পিতৃত্ব বাতিলযোগ্য। আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছেন, সন্তানদের জাতীয় পরিচয়পত্রসহ সব কাগজপত্র থেকে ওই ব্যক্তির নাম মুছে ফেলা হবে।
বাদীর আইনজীবী ইবতিসাম আল সাবাগ বলেন, ৪০ বছর ধরে এই ব্যক্তি সন্তানদের বাবার দায়িত্ব পালন করে এসেছেন। অথচ এখন তিনি জানলেন, এরা তার সন্তান নন। এটা একটা গভীর প্রতারণা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘটনা ঘিরে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা চলছে। অনেকে বলছেন, ৪০ বছর পর এভাবে প্রতারণা ধরা পড়া নিঃসন্দেহে হৃদয়বিদারক। কেউ আবার বলছেন, এটা শুধু একজন পুরুষের সঙ্গে নয়, পুরো একটি পরিবারের সঙ্গে প্রতারণার শামিল।
- এটিআর