ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় নিখোঁজ অন্তত ৫০ জন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৫, ১১:৪৫

ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের উত্তরকাশী জেলায় ভয়াবহ মেঘভাঙন বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৫০ জন নিখোঁজ হয়েছেন। এই দুর্যোগে এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিখোঁজদের সন্ধানে তৎপরতা চালাচ্ছে সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন উদ্ধারকারী দল।
উত্তরকাশীর ধরলি গ্রামে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির খবর মিলেছে। স্থানীয় প্রশাসনের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মেঘভাঙার ঘটনায় প্রায় ৪০ থেকে ৫০টি বাড়িঘর পানির স্রোতে ভেসে গেছে। নিখোঁজদের অনেকেই স্থানীয় বাসিন্দা, পর্যটক ও হোটেল-রিসোর্টের কর্মী বলে জানা গেছে।
দুর্যোগের পরপরই সেনাবাহিনী, এনডিআরএফ (জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী), এবং অন্যান্য জরুরি সেবা বিভাগ উদ্ধারকাজে নেমেছে। তবে বন্যা ও ভূমিধসের কারণে কিছু এলাকায় পৌঁছাতে বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতে হঠাৎ প্রচণ্ড বৃষ্টি শুরু হলে নদীর পানি একেবারে পাহাড় ঘেঁষে হু হু করে নামতে থাকে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই নদীর পাশের হোটেল, রেস্তোরাঁ, ঘরবাড়ি ভেসে যায়।
ধরলি এলাকার এক বাসিন্দা আস্থা পাওয়ার জানান, “আমার চোখের সামনে ৩-৪টি হোটেল মুহূর্তেই নদীতে ভেসে গেল। কিন্তু তার আগে কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি।”
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের একটি ক্যাম্পও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। তারা উদ্ধার কার্যক্রম জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন এবং কেন্দ্রীয়ভাবে সহায়তা পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ‘মেঘভাঙন’ বৃষ্টি হলো এমন একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেখানে অল্প সময়ের মধ্যে খুব ছোট একটি এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়। এটি সাধারণত পাহাড়ি এলাকায় আকস্মিক বন্যা সৃষ্টি করে থাকে।
উত্তরাখণ্ডে এমন দুর্যোগ আগেও দেখা গেছে, কিন্তু এবারকার পরিস্থিতি স্থানীয়দের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। উদ্ধারকাজ চলমান রয়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণ বিবরণ এখনও পাওয়া যায়নি।