ট্রাম্প-পুতিন বসছেন আলোচনায়, জেলেনস্কি দিলেন সতর্ক বার্তা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২৫, ১১:২৩
-689ec44b869b3.jpg)
ছয় বছর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার অ্যাঙ্কোরেজ শহরে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে মার্কিন ও রুশ কর্মকর্তারা একত্রিত হচ্ছেন।
ট্রাম্পের লক্ষ্য ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে নিজের নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি পূরণ করা। বৈঠকের আগে তিনি জানান, সফলতার সম্ভাবনা ২৫ শতাংশ, তবে পুতিনের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সাফল্য পাওয়ার আশা রাখছেন তিনি।
এই আলোচনায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তিনি সতর্ক করেছেন, তার অনুপস্থিতিতে গৃহীত যেকোনো সমাধান অর্থহীন হবে। ইউক্রেনের দিক থেকে মনে করা হচ্ছে, দনবাস ও অন্যান্য অঞ্চলে কোনো আঞ্চলিক ছাড় বা বিনিময় হলে তা দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
আলাস্কার ভেন্যু নির্বাচিত হয়েছে একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটির কাছে। নিরাপত্তা এবং সময় সীমাবদ্ধতার কারণে বৈঠকটি কয়েক ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হওয়ার কথা নয়। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের উপস্থিতি থাকলেও সাধারণ শহরে অনেকটা স্বাভাবিক পরিবেশ বিরাজ করছে।
ট্রাম্প বৈঠকে রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ বা যুদ্ধবিরতি চুক্তি— দুটোর মধ্যে যেকোনো একটি পদ্ধতির জন্য সময়সীমা দিয়েছে। তবে রাশিয়া এখনও নীরব, কেবল পুতিনের আপসহীন অবস্থান প্রকাশ করা হয়েছে। রাশিয়া দাবি করছে, যুদ্ধবিরতি তখনই সম্ভব যখন দনবাস ও খেরসন, জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত হবে এবং কিয়েভ ন্যাটোতে যোগ না দেয়।
ট্রাম্প বৈঠকে নিজেকে ‘বৈশ্বিক শান্তিদূত’ হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছেন এবং আশা রাখছেন, পুতিনের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সংঘাত সমাধানে সহায়তা করবে। তবে জেলেনস্কি ও ইউক্রেনের অসুবিধার কারণে শীর্ষ বৈঠক কেবল দ্বিপাক্ষিক পর্যায়ে সীমাবদ্ধ থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, কারণ দুই পক্ষের সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান বা দীর্ঘায়নের দিক নির্দেশ করবে।