ট্রাম্পের সঙ্গে ‘দীর্ঘ’ ফোনালাপ, ওয়াশিংটনে যাবেন জেলেনস্কি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৫, ১৪:৫৩

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, আগামী সোমবার ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে একটি বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, তিনি ‘আমন্ত্রণের জন্য কৃতজ্ঞ’।
আলাস্কায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে ওয়াশিংটনে ফেরার পথে জেলেনস্কির সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘দীর্ঘ’ ফোনালাপ হয় বলে জানিয়েছিল হোয়াইট হাউস।
জেলেনস্কির সঙ্গে আলাপের পর ট্রাম্প ন্যাটোর নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন বলে জানান হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট।
ইউক্রেনও এরপর নিশ্চিত করে যে ট্রাম্প এবং ইউরোপীয় নেতাদের সাথে 'দীর্ঘ ফোনালাপ' করেছেন জেলেনস্কি।
তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এটি একটি দীর্ঘ ফোনালাপ ছিল। প্রথমে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও ট্রাম্পের মধ্যে, তারপরে ইউরোপীয় নেতারা এতে যোগ দিয়েছিলেন।’
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে আলোচনায় জেলেনস্কি উপস্থিত ছিলেন না।
এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা ভালো হলে দ্বিতীয় বৈঠক হতে পারে। তিনি জেলেনস্কিকে কল করতে পারেন।
এদিকে, এক লিখিত বিবৃতিতে জেলেনস্কি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে তার ‘দীর্ঘ ও বাস্তবসম্মত’ কথোপকথন হয়েছে। প্রথমে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে একান্তে এবং তারপর ইউরোপীয় নেতাদের নিয়ে যৌথভাবে কথা বলেছেন।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার শনিবার জেলেনস্কি ও ট্রাম্পের এই ফোনালাপে যুক্ত হয়েছিলেন বলে নিশ্চিত করেছে তার কার্যালয়।
পরে কিয়ের স্টারমার শনিবার সকালে দ্বিতীয়বারের মতো জেলেনস্কির সাথে কথা বলেন। তিনি ইউরোপীয় নেটো নেতাদের এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একটি গ্রুপ কলে যোগ দেন।
তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই দ্বিতীয় কলে যোগ দেননি।
এদিকে, প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ট্রাম্পের সঙ্গে একান্তে কথা বলার তথ্যও দিয়েছেন জেলেনস্কি।
বিবৃতিটি তুলনামূলকভাবে ছোটো, তবে এটি একটি ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ওয়াশিংটনের ওভাল অফিসের বিপর্যয়কর বৈঠকের পর ট্রাম্পের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য ইউক্রেনের সাম্প্রতিক প্রচেষ্টার প্রতিফলন হিসেবে হচ্ছে এই পদক্ষেপকে।
আলাস্কার শীর্ষ সম্মেলন থেকে বাদ পড়ায় ইউক্রেনীয়রা গভীরভাবে অসন্তুষ্ট ছিল এবং জেলেনস্কি বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলেছেন যে পরবর্তী দফায় আলোচনার জন্য তিন নেতারই উপস্থিত থাকা উচিত।
তিনি ‘নির্ভরযোগ্য নিরাপত্তার গ্যারান্টি নিশ্চিত করতে’ আমেরিকার সাথে প্রতিটি পর্যায়ে ইউরোপীয় নেতাদের উপস্থিত থাকার গুরুত্বের ওপরও জোর দেন।
অনেক ইউক্রেনীয়র বিশ্বাস, ট্রাম্পের সঙ্গে আলাপে ইউরোপীয় নেতাদের উপস্থিতি একটি প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করতে পারে, কারণ ট্রাম্পকে তারা পুতিনের দ্বারা প্রভাবিত ব্যক্তি বলে মনে করেন। তথ্যসূত্র-বিবিসি
এমবি