
ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের কাটরা অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাতের পর ভূমিধসে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় তীব্র বিপর্যয় পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
কাটরার হিন্দু তীর্থক্ষেত্র বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের কাছাকাছি মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) এই ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে মন্দির এলাকায় তীর্থযাত্রা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সিনিয়র পুলিশ সুপার পরমভীর সিংয়ের বরাতে সংবাদ সংস্থা এএনআই খবর দিয়েছে। ‘শ্রী মাতা বৈষ্ণোদেবী শ্রাইন বোর্ড’ জানায়, ভূমিধসটি ঘটেছে মন্দিরের কাছাকাছি ইন্দ্রপ্রস্থ ভোজনালয়ের পাশে।
একই সময়ে, জম্মু-কাশ্মীরের ডোডা জেলায় প্রবল বৃষ্টিপাত ও বন্যায় আরও তিন জন মারা গেছেন।
সম্প্রতি চারদিন ধরে জম্মু অঞ্চলে প্রবল বর্ষা চলছে। নদীগুলো বিপদসংকেতের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, রাস্তাগুলো ডুবে গেছে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, জটিল যোগাযোগ পরিস্থিতির মধ্যে প্রশাসন উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় তিনি ও তার মন্ত্রীসভার সদস্যরা নির্দিষ্ট এলাকায় পৌঁছাতে পারছেন না।
প্রবল বৃষ্টি ও ভূমিধসের কারণে বহু ট্রেন বাতিল হয়ে গেছে, ফলে তীর্থযাত্রীরা আটকে পড়েছেন। জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীসহ সেনাবাহিনীও উদ্ধার কার্যক্রমে নিয়োজিত হয়েছে। দিল্লির নিকটবর্তী হিন্দোান বিমানঘাঁটি থেকে উদ্ধারকর্মীদের সঙ্গে সামরিক বিমানও রওয়ানা হয়েছে। জম্মু, উধমপুর, শ্রীনগর ও পাঠানকোটের সামরিক ঘাঁটিগুলোতে অতিরিক্ত বিমান প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা শোকবার্তা জানিয়েছেন।
এদিকে, নিকটবর্তী হিমাচল প্রদেশের তিনটি জেলায় ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে পরবর্তী দুদিনের জন্য লাল সংকেত জারি করেছে ভারতীয় আবহাওয়া বিজ্ঞান দপ্তর।
ইতোমধ্যেই বিপাশা নদীতে বন্যা দেখা দিয়েছে এবং চণ্ডীগড়-মানালি মহাসড়কের একটি অংশ স্রোতে ভেসে গেছে। হিমাচল প্রদেশে জুন মাস থেকে বর্ষা মরসুমে মৃতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৩১০ জনে পৌঁছেছে।
এমএইচএস