গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৬২ ফিলিস্তিনি নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৫

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলকার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আরও ৬২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অনেকে। এছাড়া ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) গাজা সিটিতে এ হামলা চালায় দখলকার বাহিনী। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা’র এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী গাজা শহরে আক্রমণ আরও তীব্র করেছে। পরিকল্পিতভাবে স্কুল-পরিচালিত আশ্রয়কেন্দ্রসহ বিভিন্ন ভবন ধ্বংস করে তারা অন্তত ৪৯ জনকে হত্যা করেছে।
শনিবারের এ হামলায় গাজা সিটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ জনে।
ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, গাজা সিটির বাসিন্দারা এখন অব্যাহত অবরোধ ও বোমাবর্ষণের মধ্যে রয়েছে। গাজার মানুষ অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতিতে বসবাস করছেন।
আল জাজিরার প্রতিবেদক হানি মাহমুদ বলেন, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান প্রতি ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরপরই আবাসিক এলাকা ও জনসেবামূলক স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি।
প্রচণ্ড ভিড় ও সম্পদের ঘাটতির কারণে অনেকে দক্ষিণে পালানোর চেষ্টা করেও আবার গাজা সিটিতে ফিরে আসছে। আল-মাওয়াসি ও দেইর আল-বালাহ শরণার্থী ক্যাম্প ইতোমধ্যেই অতিরিক্ত জনাকীর্ণ হয়ে পড়েছে এবং সেখানে ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত রয়েছে।
গাজা সিটির আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুহাম্মদ আবু সালমিয়া বলেন, অল্প কিছু মানুষ দক্ষিণে পৌঁছাতে পেরেছেন। কিন্তু সেখানে কোনো আশ্রয় বা মৌলিক সেবা পাচ্ছেন না। তাই অনেকে আবার গাজা সিটিতে ফিরে আসছেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে, গাজার ৮৬ শতাংশ এলাকা এখন হয় সামরিকীকৃত নয়তো উচ্ছেদের হুমকির মধ্যে রয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় অপুষ্টি ও অনাহারে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজন শিশু রয়েছে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষে মারা গেছে ৪২০ জন। যাদের মধ্যে ১৪৫ জন শিশু।
এমবি